reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

যুদ্ধাপরাধের মামলায় আঞ্জু ও ছোরাপের মৃত্যুদণ্ড

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোণার আটপাড়া থানার হেদায়েত উল্লাহ ওরফে আঞ্জু ও সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে মো. হেদায়েতুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেছুর রহমান বাদল, সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নী ও তাপস কান্তি বল। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আবদুর শুক্কর খান। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ঠিক করা হয়েছিল। এর আগে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ৭ মার্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে।

২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই সময় আসামি ছিল তিনজন। তারা হলেন শান্তি কমিটির সদস্য হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০), রাজাকার এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০), রাজাকার সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮)। ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু। হেদায়েতুল্লাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০) ও এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) আপন দুই ভাই।

তিনজনের বাড়িই নেত্রকোনার আটপাড়া থানার কুলশ্রীতে। তবে আঞ্জু থাকেন রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ মেথর পাড়ায়। অপরদিকে, ছোরাপের বসবাস ছিল একই মদন থানার জাহাঙ্গীরপুরে।

২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান। ৪০ জনের সাক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা, গণহত্যা এবং দেশত্যাগে বাধ্য করার মতো অপরাধের সন্ধান পাওয়া গেছে। নেত্রকোনার আটপাড়া থানার মধুয়াখারী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন থানার মদন গ্রামে তারা এসব অপরাধ করেছেন। এসব অপরাধের ভিত্তিতে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৃত্যুদণ্ড,যুদ্ধাপরাধ,আঞ্জু ও ছোরাপ আলী,নেত্রকোণা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close