reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ মে, ২০১৮

‘এস কে সিনহার বাড়ির দাম বাবদ ওই টাকা দেওয়া হয়েছিল’

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহাকে তার বাড়ির দাম বাবদ ৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল বলে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানিয়েছেন মো. শাহজাহান ও নিরঞ্জন সাহা নামের ২ ব্যক্তির আইনজীবীরা। আজ রোববার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক কার্যালয় থেকে বেরিয়ে এসে তারা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তারা বলেন, বাড়ি বিক্রির দাম বাবদ ফারমার্স ব্যাংকের পে অর্ডারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে এস কে সিনহার ব্যাংক হিসাবে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়।

এর আগে ওই ২ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ফারমার্স ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে চার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ‘একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির’ ব্যাংক হিসাবে ওই টাকা স্থানান্তর করা হয়। দুদকের তলবে আজ সকাল ৯টার দিকে ২ আইনজীবীসহ সেখানে হাজির হন নিরঞ্জন ও শাহজাহান। সাড়ে ৯টার দিকে আইনজীবীসহ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে নেওয়া হয়। পরে আইনজীবীরা ফিরে এসে দুদকের অভ্যর্থনা কক্ষে অপেক্ষা করেন।

সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা হয় ২ আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল ও নামজুল আলমের। তারা বলেন, দুদকের তলবে হাজির হয়ে তারা ১৭১ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের ২ মক্কেল কোনো অন্যায় করেননি দাবি করে আইনজীবীরা বলেন, সরল বিশ্বাসে তারা শান্তি রায় ও রঞ্জিত রায়কে সহায়তা করেছেন।

আইনজীবীদের দাবি, এস কে সিনহার উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ৬ তলা বাড়িটি ২০১৬ সালের শুরু দিকে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা শান্তি রায় ৬ কোটি টাকায় কেনার জন্য বায়না করেন। শান্তি রায় সাবেক প্রধান বিচারপতির কথিত পিএস রঞ্জিতের স্ত্রী। বাড়িটি বায়না করার পর হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনের ৫৫ লাখ টাকা এবং বাড়ি নির্মাণের সময় নেওয়া আরও ১ কোটি ৪০ লাখসহ মোট ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। ফারমার্স ব্যাংকের পে অর্ডারের মাধ্যমে বাকি ৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয় বলেও দাবি করেন তারা।

পিডিএসও/মুস্তাফিজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এস কে সিনহা,বাড়ির দাম,টাকা দেওয়া হয়েছিল
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist