একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক, বিজ্ঞানী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবীর জীবনের ওপর নির্মিত প্রমাণ্যচিত্রের প্রিমিয়ার শো আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার নাম ‘অ্যা ফ্রিডম ফাইটার ফরএভার’। বাংলায় অর্থ ‘ড. নুরুন নবী, আজীবন মুক্তিযোদ্ধা।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে প্রামাণ্য চিত্রটি প্রদর্শিত হয়।

এসময় আয়োজন উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আআমস আরেফিন সিদ্দিক, ড. নূরুন নবী, প্রামাণ্যচিত্রের নির্মাতা নাদিম ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে। উপস্থিত দর্শকরা এ প্রমাণ্যচিত্রের প্রশংসা করেন।

প্রিমিয়ার শোতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী বলেন, প্রামাণ্য চিত্রটির উদ্দেশ্য ছিল নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর। এখানে নতুন জেনারেশনের অনেকের উপস্থিতি আমাকে মুগ্ধ করেছে।

নির্মাতা বলেন, আমি প্রথম যখন ওনার সাক্ষাৎকার নেই, সেটা ছিল দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার। কিন্তু সময় সল্পতায় আমার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বাদ দিয়েই ফিল্মটি নির্মাণ করতে হয়েছে। আজকে প্রিমিয়ারশোতে দর্শকরা পুরোটা সময়জুড়ে যে ভাবে প্রমাণ্যচিত্রটি উপভোগ করলেন সত্যিই নিজের মধ্যে ভালোলাগা কাজ করছে।

এদিকে ড. নবীর লেখা সাড়া জাগানো বই ‘বুলেটস অব সেভেন্টি ওয়ান- অ্যা ফ্রিম ফাইটার্স স্টোরি’ অবলম্বনে এই ডকুমেন্টারিটির দৈর্ঘ্য ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। নাদিম ইকবাল নির্মিত ‘অ্যা ফ্রিডম ফাইটার ফরএভার’-এর চিত্রধারণ করেছেন তিনি নিজেই।

ডকুমেন্টারির শুটিং হয় ভুয়াপুর ও বাহদুরাবাদ আসামের গৌহাটি, মেঘালয়ের তুরা ট্রেনিং ক্যাম্পসহ ড. নূরুন নবীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, টাঙ্গাইলে একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত এলাকায়।

ভারতের ২৮ জন সেনা কর্মকর্তা, যাদের সঙ্গে একাত্তরে যোগাযোগ ও বৈঠক হয় ড. নূরুন নবীর, তাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া করা হয় নয়াদিল্লিসহ অন্যান্য শহরে।

ডকুমেন্টারিতে মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ফুটেজও ব্যবহৃত হয়েছে। সেইসঙ্গে ড. নূরুন নবীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে যারা জানেন, এমন বিশিষ্টজনদের সাক্ষাৎকার ও মন্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। তারা হলেন, শাহরিয়ার কবির, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, কবি আসাদ চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, বেলাল বেগ, মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, 'সাপ্তাহিক বাঙালী'র সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও আবৃত্তিকার লুৎফুন নাহার লতা প্রমুখ।