‘হ্যালো, বিকাশের ঢাকা অফিস মহাখালি থেকে বলছি।’ এরপর কিছু তথ্য জানতে চান। তখন আমি ফোনের লাইনটা কেটে দেই। পরদিন বেলা ১২.৩৬ মিনিটে আমার ওই নম্বর থেকে দশ হাজার টাকা সেন্ডমানি করে নেওয়া হয়। বিষয়টি বিকাশের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় এসআরকে জানালে তিনি বলেন, আমাদের কিছুই করার নেই।

এভাবেই কথাগুলো জানান সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর এলাকার বিকাশের ব্যবসায়ী আসলাম সিকদার। তিনি ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।

তিনি আরও জানান, গত ১২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমার ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে ০১৯০৬১১০৭২৪ নাম্বর থেকে একটি কল আসে। আমি তাদের আমার বিকাশের কোন তথ্য দেইনি। কলটি রিসিভ করেছিলাম মাত্র। আমি গরীব মানুষ, কল ধরেই আমার দশ হাজার টাকা চলে গেলো।

ঘটনাটি নিয়ে পরদিন কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। ডায়েরী নং-৫৪০। যে নম্বরে টাকা সেন্ডমানি করে নেওয়া হয়েছে বা যেখান থেকে ক্যাশ আউট করা হয়েছে বিকাশ কর্তৃপক্ষ চাইলে খুব সহজেই বের করতে পারবেন। তবে আমাদের দিকে আসা এসআর ফিরোজ আহম্মেদকে জানালে সে বলে, আমাদের কিছু করার নেই।

বিকাশের এসআর (বিক্রয় প্রতিনিধি) ফিরোজ আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মেদ বলেন, এমন ঘটনায় আমাদের কিছু করার থাকেনা। তবে বিকাশের পরবর্তী ব্যবস্থার জন্য থানায় সাধারণ ডায়েরী প্রয়োজন। বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালে তাদের আইটি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিষয়টির সমাধান করতে পারবেন।

পিডিএসও/অপূর্ব