স্কুলের ভিতর শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টা, আটক দপ্তরি
যশোরের শার্শায় কাজি শাহিদুজ্জামান সাজন (২৪) নামে এক দপ্তরি কাম পিয়নের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ভেতরেই সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা বাদি হয়ে শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে সাজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সাজন শার্শা কাজিপাড়ার মৃত. মতিয়ার রহমানের ছেলে।
শার্শা থানার ওসি এম মশিউর রহমান বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই সহকারী শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীদের ই-ফরম জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শার্শা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। এ সময় তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসরাফিলের খোঁজ করেন। এ সময় সাজন পাশের একটি কক্ষে স্যার আছেন বলে ওই শিক্ষিকাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সাজন আচমকা ওই শিক্ষিকার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং পোশাক ছিঁড়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় ওই শিক্ষিকার চিৎকারে পাশের রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাকটর সাইদুল হক, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও পিয়ন আতিয়ার তাকে উদ্ধার করেন।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় ওই শিক্ষিকা ওই দিনই শার্শা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং : ৪৮। মামলার তথ্যের ভিত্তিতে এসআই আনোয়ারুল আজিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাজি শাহিদুজ্জামান সাজনকে আটক করেন।
আটক সাজন বলেন, আসলে ওই সময় আমার মাথা ঠিক ছিল না। আমি কি করেছি, তা আমি বলতে পারব না।
পিডিএসও/রিহাব