গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ ৬ বছর ধরে ভারত এবং বাংলাদেশের নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নিয়ে গঙ্গা-যমুনা উৎসব আয়োজন করে আসছে। দুই দেশের অভিন্ন সংস্কৃতির অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং জনগণের মৈত্রীর বন্ধন দৃঢ়তর করার লক্ষ্যেই মূলত এ আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ।

এ বছর ৫ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে ভারতের ৪টি দলের ৪টি প্রদর্শনী, ঢাকা ও ঢাকার বাইরের ২৬টি নাট্যদলসহ মোট ৩০টি প্রদর্শনী এবং উন্মুক্ত মঞ্চে ৯টি পথনাটক, ১৮টি আবৃত্তি সংগঠন, ১৮টি সংগীত সংগঠন, ১৮টি নৃত্য সংগঠন, একক আবৃত্তি ও একক সংগীত পরিবেশনা নিয়ে এ উৎসব আয়োজিত হচ্ছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আনুমানিক আড়াই হাজার শিল্পীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এবারের ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮’ উদযাপিত হবে।

উৎসবে মঞ্চনাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত ও পথনাটকে ভারত ও বাংলাদেশের মোট ৯৬টি দল অংশ নেবে। উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব প্রতিদিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে ৬টা ৩০ পর্যন্ত এবং মঞ্চনাটক প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।

আগামী শুক্রবার বিকেল ৫টায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে ১১ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৮’-এর উদ্বোধন করবেন ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্যজন বিভাস চক্রবর্তী ও মামুনুর রশীদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

এ ছাড়া উদ্বোধনী পর্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যজন নাসির উদ্দিন ইউসুফ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন উৎসব পর্ষদের সদস্য সচিব আকতারুজ্জামান এবং সভাপতিত্ব করবেন উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ।

পিডিএসও/তাজ