পঞ্চগড় প্রতিনিধি

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

পঞ্চগড়ে ওএমএসের চাল পাচ্ছেন না অনেকেই

চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে ওএমএসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু করলেও বরাদ্দ কম থাকায় অনেকেই এর সুবিধা পাচ্ছেন না। আর এ কারণে পঞ্চগড় জেলায় কাক্সিক্ষত হারে চালের দাম কমছে না। খাদ্যগুদামে সিদ্ধ চালের মজুদ কম থাকার খবরে ব্যবসায়ীরা বাড়তি দাম সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনছে না বলে জানা গেছে। প্রয়োজনের তুলনায় ওএমএসের চালের বরাদ্দ একেবারে অপ্রতুল হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়েও এই চাল পাচ্ছেন না।

২৮ জন ডিলারের মাধ্যমে পঞ্চগড় সদর উপজেলাসহ পাঁচটি উপজেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ডিলারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক টনের স্থলে সদরে একজন ডিলারকে ৬২৫ কেজি ও অন্য উপজেলার ডিলারদের ৬০০ কেজি করে দৈনিক চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। প্রতিজনকে পাঁচ কেজি করে চাল দেয়ার নিয়ম থাকলেও মানুষের চাপে তিন কেজি করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকে আবার তাও পাচ্ছেন না। খাদ্যগুদামে সিদ্ধ চালের মজুদ কম থাকায় এ কার্যক্রম বেশি দিন চলবে না বলে অনেকে মনে করছেন। আতপ চাল দিয়ে কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। কারণ পঞ্চগড়ের মানুষ আতপ চালে অভ্যস্ত নন। এতে আবারো অস্থির হতে পারে চালের বাজার- এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওএমএস কার্যক্রম শুরুর পর প্রতি প্রকার চালের দাম এক থেকে দুই টাকা কমেছে। বর্তমানে হাটবাজারের দোকানগুলোতে মিনিকেট ৬০ টাকা, আঠাশ জাতের চাল ৫৫ টাকা, স্বর্ণপারি ৪৮ টাকা, গুটিপারি ৪৬ টাকা ও হাইব্রিড জাতের মোটা ৪৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও এখনো চালের দাম কমানো হয়নি।

ধাক্কামারা এলাকার ডিলার জয়নাল আবেদীন বলেন, ডিলারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় এক টনের স্থলে আমাকে দেওয়া হচ্ছে ৬২৫ কেজি। লোকজনদের চাপ খুব বেশি হওয়ায় প্রতিজনকে পাঁচ কেজির স্থলে দেওয়া হচ্ছে তিন কেজি। লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে চাল পাচ্ছেন না। এখন অফিস থেকে বলা হচ্ছে লোক বেশি হলে দুই কেজি করে দেওয়ার জন্য। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বপন কুমার কুন্ডু বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিদিন সদর উপজেলায় পাঁচ টন ও বাকি উপজেলাগুলোতে তিন টন করে প্রতিদিন ১৭ টন চাল ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। আমাদের বরাদ্দ বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist