রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁর) প্রতিনিধি
কৃষকের নামে গম বিক্রি ফড়িয়াদের
সরকার সরাসরি গম আবাদকারী কৃষকের কাছ থেকে গম কেনার ঘোষণা দিয়ে গত ১৮ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়ে সারা দেশে গম কেনার কার্যক্রম শুরু করে। তবে ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বরাদ্দকৃত ৩০৪৭ মেট্রিক টন গম সংগ্রহ অভিযান বিলম্ব সময় নিয়ে গত ১৫ মে শুরু হলেও সরাসরি কৃষকরা গম বিক্রি করতে পারেনি সরকারের কাছে, গম বিক্রি করেছে ফাড়িয়ারা। এতে যেমন সাধারণ কৃষক হারালো কাঙ্গিত অধিকার অন্যদিকে সরকারের মহৎ পরিকল্পনাও ভেস্তে গিয়েছে। জানা গেছে, রানীশংকৈল গম ক্রয় কমিটির সভাপতি ইউএনও খন্দকার মো. নাহিদ হাসান কৃষি অফিস থেকে গম আবাদকারী কৃষকের তালিকা নিয়েছেন। কিন্তু একজন কৃষকও গম খাদ্য গুদামে বিক্রি করতে পারে নি। এ যাবৎ ২টি খাদ্য গুদামে সমস্ত গম বিক্রি করেছেন ফাড়িয়ারা।
জানা গেছে, গম ক্রয় কমিটির সভার আলোকে ৩০৪৭ মেট্রিক টন গমের হিসাব ভাগাভাগি হয়। আর এ ভাগ নিতে ছাড়েনি উপজেলার এমপিদ্বয়, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা। ভাগের হিসাব থেকেই ১ মেট্রিক টন শুধু মাত্র গমের স্লিপ (ঢোকেন) বিক্রি হয় সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। আর স্লিপ কেনেন ফাড়িয়ারা। তারা আবার তাদের মনোনীত কৃষকের কৃষি কার্ড দিয়েই যথা নিয়ম অনুসারে গম বিক্রি করেন খাদ্যগুদামে। এতে সরকারের খাতায় কৃষকের নাম দেখানো হলো অন্যদিকে আর্থিকভাবে লাভবান হলো ফাড়িয়ারা আর ভাগাভাগির অংশীদার-দ্বয়।
এদিকে গম বিক্রির পর আবার বিল উত্তোলনেও চলে উৎকোচের ব্যবসা টন প্রতি এক হাজার টাকা কমিশন নেন খাদ্য গুদাম ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদ্বয়, এবং যে ব্যাংকে নগদ টাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে সংশ্লিষ্ট টেবিল গুলোতে উৎকোচ দিতে হয়। এ উপজেলার কৃষকদের মধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কাশিপুর ইউনিয়নের কৃষক সালাম বলেন,যারা সরকার পরিচালনায় আমাদের এলাকার প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে কাজ করে তারাই যদি কৃষকের অধিকার হরন করে তাহলে আর কি করার বা বলার আছে।
"