নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের দুই খবর
আড়াই মাসের শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করল বাবা!
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যৌতুকের কারণে জুনায়েদ হোসেন নামে আড়াই মাসের এক শিশুকে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার ভোরে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার নরাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আবু বক্কর ও দাদি মনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর মা মৌসুমী আক্তার জানান, দেড় বছর আগে তারা প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ভালোভাবে মেনে নেয়নি। তা ছাড়া বিয়ের পর তার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ যৌতুকের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। একটি ঘর ও ধারদেনা করে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিলেও আরও যৌতুকের জন্য তারা চাপ দিচ্ছিল। আর এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। গত মঙ্গলবার রাতে ফের আবু বক্করের সঙ্গে মৌসুমী আক্তারের ঝগড়া হয়। পরে শিশু জুবায়েদকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে থাকে। ভোররাতে মৌসুমী ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার শিশু সন্তান জুনায়েদ পাশে নেই। পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী এক প্রতিবেশী এসে খবর দেন, শিশু জুনায়েদের মৃতদেহটি পুকুরে ভেসে আছে। পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শিশুটির মৃতদেহটি উদ্ধার করে। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাঈল হোসেন জানান, শিশুটির মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে হত্যার অভিযোগে তার বাবা এবং দাদিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চাচি হত্যায় ভাতিজার মৃত্যুদন্ড : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় টাকা ধার চেয়ে না পেয়ে চাচিকে হত্যা মামলায় ভাতিজা ফাহিম আহমেদ ছাব্বিরকে (২০) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। গতকাল বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কামরুন্নাহারের আদালত ছাব্বিরের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ছাব্বির ফতুল্লার হরিহরপাড়া এলাকার সামছুদ্দিন আহমেদের ছেলে। আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জাসমিন আহমেদ রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৯ জানুয়ারি হরিহরপাড়া এলাকার কবির উদ্দিনের স্ত্রী সাহেদা বেগমের কাছে ৫ হাজার টাকা ধার চায় ভাতিজা ছাব্বির। চাচি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ধারাল ছুরি দিয়ে সাহেদা বেগমের পেটে আঘাত করে ছাব্বির পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাহেদার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
"