পলাশ (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ০৯ নভেম্বর, ২০১৯

ঘোড়াশালে ময়লার ভাগাড় এখন ফুলের বাগান

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভা সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ রেলওয়ে স্টেশনের দুইপাশ ছিলো ঝোপঝাড়ে ভরা এক ময়লার ভাগাড়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হতো এই স্থানটি। তাদের হাতে প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের শিকার হতে হয়েছে পথচারীদের। এছাড়াও আশপাশের লোকজন নিয়মিত ময়লা ফেলতেন এখানে। ফলে ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ ছিল পথচারী ও স্টেশনের যাতায়াতকারী রেলওয়ের যাত্রীরা।

সম্প্রতি ঘোড়াশাল পৌরমেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন ওই স্থানটি সংস্কারে পদক্ষেপ নেন। তাদের প্রচেষ্টায় ঘোড়াশাল পৌরসভার অর্থায়নে ঝোপঝাড় ও ময়লার ভাগাড় সরিয়ে এই স্থানটিতে তৈরি করা হচ্ছে ফুলের বাগান।

এস.এ গাজী নামের একজন ট্রেনযাত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করায় ঘোড়াশাল পৌর মেয়র ও পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাধুবাদ। আবু বকর সিদ্দিক নামের এক পথচারী জানান, আগে সন্ধা হলেই অপরাধীরা এখানকার ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থেকে নানা অপকর্ম করতো। আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে চলাফেরা করতে হতো। এই স্থানের ময়লা ও ঝোপঝাড় পরিস্কার করে ফুলের বাগান তৈরি করায় ছিনতাইকারীরা আর সহজে এখানে অপকর্ম চালাতে পারবেনা বলে মনে করেন তিনি। চাকরিজীবি শাহ আরিফুর রহমান জানান, পলাশে তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র নাই। ঘোড়াশাল রেল স্টেশনের ওই এলাকাটিতে ফুলের বাগানে রুপান্তরিত করায় সেখানে এখন বিনোদনের খোরাক পাবে সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান জানান, আগে রেলওয়ে ফ্লাগ স্টেশনের পাশে ঘুরতে বা হাটাহাটি করতে এসে নানান বিড়ম্বনার শিকার হতে হতো। কিন্তু ঝোপঝাড় পরিস্কার করে এখানে ফুলের বাগান করাতে এখানকার পরিবেশ পাল্টে গেছে।

ঘোড়াশাল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক বলেন, রেলওয়ে যাত্রী ও পথচারীদের নির্বিগ্নে চলাচল ও দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এর দুইপাশের ঝোপঝাড় সরিয়ে সবুজায়ন ও দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। এ পরিবেশ ধরে রাখতে হলে যাত্রী ও পথচারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন বলেন, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা করার পর আবার যেন ওই স্থানটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত না হয় সে বিষয়ে সকলের সচেতনতা দরকার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close