সাহিদুর রহমান, ইসলামপুর (জামালপুর)

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

‘ভাবতেও পারিনি ইটের ঘরে ঘুমাবো’

‘এক চালার ছাপড়ার নিচে কোন রকমে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিলাম। গ্রীষ্মে গরম, বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে ও শীতকালে কনকনে ঠান্ডায় না ঘুমিয়েও রাত কাটিয়েছি। স্মামীর রেখে যাওয়া সামান্য জায়গা ছিলো। কিন্তু ঘর বানানোর সামর্থ্য ছিল না। সরকারি টাকায় পিআইও অফিস ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে। ভাবতেও পারিনি আমি ইটের তৈরি ঘরে ঘুমাবো, আজ আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এটাই আমার স্বপ্নের রাজবাড়ি।’ গতকাল শুক্রবার সকালে এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে এ কথাগুলো বলছিলেন, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পলবান্ধা ইউনিয়নের মলছন বেওয়া (৭২)।

শুধু মলছন বেওয়াই নন, চিনাডুলী’র সুন্দরী বেগম, নোয়াপাড়ার গোলাপ ফুল বেওয়া, বেলগাছা ইউনিয়নের ছামেনা বেওয়া, পৌর শহরের মৌজাজাল্লাহ গ্রামের হাওয়া বেওয়াসহ উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের ৫২টি উপকারভোগী অসচ্ছল পরিবার ঘর পেয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেছেন, এটা তাদের কাছে ছিলো আকাশ কুসুম কল্পনার মতো। অভাব অনটনের কারণেই তারা একটি দু’চালা টিনের ঘরও তুলতে পারিনি। পরিবার পরিজন নিয়ে ছাপড়া ঘরেই খুব কষ্ট করে জীবন যাপন করে আসছিলেন। সারাজীবনের স্বপ্ন বিনামূল্যে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন তারা।

জানা গেছে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দে দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণে প্রতিটি ঘরের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। এ উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৪৬টি ও পৌরশহরের ৬টি পরিবারসহ মোট ৫২টি অসচ্ছল পরিবারকে একটি করে দুর্যোগ সহনীয় টিনসেড পাকা ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, প্রায় ৫০০ বগফুটের প্রতিটি ঘরে দুটি কক্ষ, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর রয়েছে। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর টেকসই। প্রতিটি ঘরেই সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা রয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close