আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

  ১২ অক্টোবর, ২০১৯

বরগুনার আমতলী

৯ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা সাঁকো

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ও আমতলী সদর ইউনিয়নের ৯ গ্রামের মানুষকে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে হয় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের।

উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের রামজি খালের উপড়ে স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরী করা হয় বাঁশের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে চলাচল করেন হলদিয়া, পশ্চিমচিলা, টুঙ্গা ও আমতলী সদর ইউনিয়নের নাচনাপাড়া গ্রামের ৬-৭ হাজার মানুষ। তুজির ঘোজা (সোমবারীয়া) বাজার সংলগ্ন এ খালে এক সময় খেয়া নৌকা ছিল। তবে গত ১০ বছর আগে এ এলাকার সাধারন মানুষদের উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। এ সাঁকো দিয়ে বৃদ্ধ, মহিলা, শিশু, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও মুমূর্ষু রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হন। বর্ষা মৌসুমে বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও গুরুদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন তক্তাবুনিয়া নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ বাঁশের সাঁকো পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করে।

গুরুদলের মো. মিঠু মিয়া বলেন, ‘আগে খেয়া নৌকা আছিল। মোরা হেইতে পার হইতাম। এ্যাহন অনেক কষ্ট করে বাঁশের হাক্কা পারাই।’ দক্ষিন তক্তাবুনিয়া নেছারিয়া দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র খবির উদ্দিন ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির হাফছা বলেন, কষ্ট করে বাঁশের সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে হয়। হলদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তুজির গোজায় ও রামজী খালে ব্রিজ নির্মাণ এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করবো।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close