কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ২২ মে, ২০১৯

বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে আটকে রেখে দলবদ্ধ ‘ধর্ষণ’

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সুমন, শুভন ও শামীম ওই কিশোরীকে ৬ দিন ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। গত সোমবার কিশোরীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে পরিবারের লোকজন তিন যুবকে আটক করে। পরে সুযোগ বুঝে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করে। পরে পুলিশ লোহাজুরী ইউপি সদস্য আবদুল রশিদকে আটক করে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮টায় সুমন (২৪) নামের এক যুবক ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মোটরসাইকেলে করে পার্শ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুমনসহ তার দুই বন্ধু শুভন ও শামীম ওই কিশোরীকে ৬দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সুমন লোহাজুরী ইউনিয়নের দশপাখী গ্রামের চান্দু মিয়ার ছেলে, শুভনের বাড়ি দশপাখী গ্রামে এবং শামীম পূর্বচর পাড়াতলা গ্রামের বলে জানা যায়। পরে সোমবার ওই তিন যুবক কিশরীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাদের আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে সুমন স্থানীয় ইউপি সদস্য রশিদ মিয়াকে বিষয়টি জানায়। এ সময় রশিদ কিশোরীর বাবাকে যুবকদের আটকে রাখার কথা বলে নামাজে যায়। পরে সুযোগ বুঝে ওই তিন যুবক পালিয়ে যায়।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এবং আটক মেম্বারকে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close