সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ০৪ মে, ২০১৯

শিক্ষা কর্মকর্তার তৎপরতায় টেস্ট পেপার বিক্রির অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার তৎপরতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছে মডেল টেস্ট পেপার বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০টি স্কুলে প্রায় ৫০০টি টেস্ট পেপার দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো অনেক বই মজুদ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বেশকিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখানে উপস্থিত বই নেওয়ার জন্য। তবে শিক্ষকরা বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তারা বিভিন্ন কাজে এসেছেন ইছাপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অথচ কোন স্কুলে কয়টি করে বই যাচ্ছে তারও একটি নোট ছিল প্রধান শিক্ষক আসাদের নিকট। তিনি সেগুলো লুকিয়ে ফেলেন কিন্তু একটি শিট টেবিলে দেখা যায়।

এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টেস্ট পেপার ও গাইড বই মজুদ করে বিক্রি করছে শিক্ষকরা এমন খবর পেয়ে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির মুন্সীগঞ্জ জেলার সভাপতি উমাশংকর সরকার সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় আরো কিছু লাইব্রেরির মালিকরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

উমাশংকর বলেন, এই বইগুলো উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের নির্দেশক্রমে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ মজুদ করেন। তার (আসাদুজ্জামান) নেতৃত্বে উপজেলার ১২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাধমে ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিক্রি করছেন।

তিনি আরো বলেন, ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদের কাছ থেকে জেনেছি যে শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের আদেশক্রমে এ স্কুলে বইগুলো মজুদ করা হয়েছে। গত বছরও এই শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে এমন ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হাতেনাতে ধরা যায়নি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

ইছাপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন স্যার গত রাতে (বুধবার) আমাকে বলেন আপনার স্কুলে বই আসবে। স্কুলের পাশে ফারুকের লাইব্রেরি আছে তার ভাই এসে বইগুলো নিয়ে যাবে। সকালে ফারুকের ভাই কিছু বই নিয়ে গেছে আর কিছু বই এখন স্কুলে আছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক কিছু বইয়ের সাথে অন্য বইগুলো দিয়ে দিয়েছে।

ইউএনও আশফিকুন নাহার বলেন, কিছু টেস্ট পেপার আমার জিম্মায় রেখেছি। যদি কোন শিক্ষক এই ঘটনায় জড়িত থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close