মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

  ০৪ মে, ২০১৯

মানিকগঞ্জে বেড়িবাঁধে ভাঙন স্বেচ্ছাশ্রমে রক্ষার চেষ্টা

যমুনা নদীতে বালু উত্তোলনের ফলে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় আরিচা-জাফরগঞ্জ রাস্তার বেড়িবাঁধ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এই বেড়িবাঁধটি। আর

বাঁধটি বিলীন হয়ে গেলে ভোগান্তিতে পড়বে অন্তত

২০ গ্রামের মানুষ। এদিকে বাঁধটি সংস্কারে সরকারিভাবে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, পানি বৃদ্ধির সময় শিবালয় উপজেলার আরিচা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তেওতা ইউনিয়নের নিহালপুর ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিতো। ভাঙনরোধে সরকারিভাবে ৬ বছর আগে ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২শ’ ফুট এই রাস্তার পাশে প্যালাসাইডিং তৈরি করা হয় এবং কংক্রিট ব্লক বসানো হয়। পরে সেখানে পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়। কিন্তু বাঁধের পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিবালয় উপজেলার আরিচা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তেওতা ইউনিয়নের নিহালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বেড়িবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোথাও প্যালাসাইডিং নষ্ট হয়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও ব্লকের কংক্রিট ওঠে গেছে এবং কোথাও কোথাও ব্লকের মাটি দেবে গেছে। আর নদীর পাড় ভাঙনরোধে স্থানীয়রা বাঁশ, প্লাস্টিকের বেড়া ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙনরোধে চেষ্টা করছেন। এই বাঁধের আশপাশে রয়েছে আরিচা পুরাতন ট্রাকটার্মিনাল, নিহালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিহালপুর মসজিদ ও কবরস্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

নিহালপুর গ্রামের মাসুদ রানা, আবদুর রহিম, সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানান, বাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন ও পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন শুরু হয়েছে এ বছর। এছাড়াও অতিরিক্ত মালবাহী ও বালুবাহী ট্রাক চলাচলের ফলে বাঁধ ও রাস্তার বিভিন্ন জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের বাপ-দাদার পৈতৃক সম্পত্তিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় তেওতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের জানান, ভাঙনরোধে উপজেলা প্রশাসন ৪ লাখ টাকা বরাদ্দের আশ^াস দিয়েছে। এখন ভাঙনরোধ করা সম্ভব না হলে সামনে আরো ভয়াবহ অবস্থা হবে। তাই স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁশ, খোটা ও বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্টা করছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি একটু ব্যবস্থা নেয় তাহলে ভাঙনরোধ করা সম্ভব হবে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মেহেদী হাসান বলেন, শিবালয় উপজেলার নিহালপুর অংশের ভাঙনের কথা শুনেছি এবং একটি টিম পরিদর্শন করেছে। ভাঙনরোধে ইমারজেন্সি ফান্ডে আবেদন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে পারব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close