বগুড়া প্রতিনিধি

  ১৪ মার্চ, ২০১৯

সোনাতলায় মরিচের বাম্পার ফলন

চরাঞ্চল জুড়ে লাল মরিচের বাহার

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে মরিচের ভাল দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। ফলে চরাঞ্চল জুড়ে শুকাতে দেখা যাচ্ছে পাকা লাল মরিচ। উপজেলা কৃষি অফিষ জানায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে এবার এক হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ করা হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ওই উপজেলার কৃষকেরা তিনটি হাইব্রিড জাতের মধ্যে সনিক, ১৭০১ ও বিজলী প্লাস এবং স্থানীয় উন্নত জাতের মরিচের চাষ করেছে। এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে।

মরিচের বীজ বপনের ৩০-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে এবং ৬০-৭০ দিনের মধ্যে কৃষক গাছ থেকে মরিচ উত্তোলন শুরু করে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন সরদার জানান, মরিচ একটি অর্থকরী মসলা জাতীয় ফসল। এই উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে যমুনা ও বাঙালী নদী। তাই বন্যার পর চরাঞ্চলে এবং অন্য জমিতে পলি জমায় প্রতিবছর ওইসব জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়। প্রতিবিঘা জমিতে ১২-১৫ মন মরিচ উৎপন্ন হয়। প্রতিমন কাচা মরিচ হাটে বাজারে ১৬শ টাকা থেকে ১৮শ টাকায় বিক্রয় করতে দেখা গেছে। আবার টোপা ও সুট মরিচ ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ও করমজা হাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষক তাদের উৎপাদিত কাঁচা মরিচ ও শুকনা মরিচ বাজারজাতকরণ করছেন। সোনাতলায় উৎপন্ন মরিচ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেচা বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এবার কৃষক ভালো দাম পেয়ে নগদ অর্থ ঘরে তুলছে।

খাবুলিয়া এলাকায় শামছুল হক জানান, এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা আয় করেছেন। প্রতিবছর তিনি ওই পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেন। মরিচ চাষে লাভ ভাল হয়। পাশাপাশি সারাবছর খাওয়া চলে।

পাকুল্যা এলাকার কৃষক ফরহাদ হোসেন জানান, এবার তিনি ৫/৬ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে ব্যাপক লাভভান হয়েছেন। ঠাকুরপাড়া এলাকার তোজাম্মেল হক জানান, এবার তিনি ৬/৭ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করেছেন। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। ইতিমধ্যেই তিনি প্রায় ১ থেকে দেড় লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close