তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি

  ১৬ জানুয়ারি, ২০১৯

কুমড়ো বড়ি তৈরি করে ২৫ পরিবারের দিনবদল

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামে ডালের কুমড়ো বড়ি তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছে প্রায় ২৫টি পরিবার।

জানা যায়, উপজেলার ৫নং নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিক দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাটবাজার থেকে এঙ্কারের ডাল ক্রয় করে থাকেন। তার পর তারা সেই ডাল পানিতে ভিজিয়ে ফিনিশিং করার পর বড়ি তৈরি করেন। এরপর খোলা আকাশের নিচে রোদে শুকিয়ে কুুমড়ো বড়ি প্রক্রিয়াজাত করেন। পরে সেই বড়ি দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাটবাজারে খুচরা ও পাইকারি দরে বিক্রি করেন তারা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই কাজের উদ্যোগ নিয়েছিল মাত্র দুটি পরিবার। বর্তমানে অনেকেই এই পেশায় জড়িয়েছেন। এ ব্যবসার সঙ্গে ১০ বছর ধরে নিয়োজিত রয়েছেন আলামিন হোসেন, শামসুল হক, রেজাউল করিম, ফরহাদ আলী, আবদুল হামিদ, হাসনা বানু, ফাতেমা খাতুন, শফিকুল ইসলাম, ছানাউল্লাহসহ আরো অনেকে।

কুমড়ো পল্লীর ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর এঙ্কারের ডাল ৩০ টাকা কেজি দরে কিনলেও বর্তমানে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। ডালের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ার পরেও ব্যবসায় লাভ হচ্ছে। ব্যবসায় আয় দিয়ে ভালোভাবেই চলছে সংসার।

তারা আরো জানান, পুঁজি কম থাকায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। ব্যবসায় যে পরিমাণ লাভ করেন তার বেশিরভাগ টাকাই মাস শেষে সুদ গুনতে হয়। এ কাজে সরকারি সহযোগিতা পেলে ব্যবসার পরিধি আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে তরেন তারা।

কুমড়ো বড়ির তৈরির কাজে জড়িত শ্রমিকরা জানান, আমরা এঙ্কার ডাল কিনে পানিতে ভিজিয়ে রাখি, তারপর মেশিন দিয়ে ফিনিশিং করি।

তারা আরো জানান, বর্তমানে এক-একজন মালিকের কাজে প্রায় ৩০-৪০ জন নারী ও পুরুষ শ্রমিক ১২ মাস কাজ করছি। প্রতিটি শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ টাকা। ১০ বছরের মধ্যে এ ব্যবসায় প্রায় ৭০০-৮০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থানও তৈরি হয়েছে।

এদিকে, কুমড়ো পল্লী মালিকরা জানান, আমরা সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে ব্যাপকভাবে এ ব্যবসা করা যেত। নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশ ও বিদেশে রফতানি করে বৈদাশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close