কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

  ২০ নভেম্বর, ২০১৮

কাউখালী সদরের সড়কগুলো বেহাল

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সদরের মূল বন্দরের সড়কগুলোর করুন অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলা সদরের দু’টি প্রধান সড়ক। ছয় মাস পূর্বে সড়ক দু’টি পুনঃনির্মাণ ও একটি সড়কের পাশে ড্রেন নির্মানের কাজ শুরু হলেও অদ্যবদি তা শেষ করেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। ফলে যারপর নাই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে উপজেলাবাসী। জানা গেছে, কাউখালী উপজেলা সদরের মাঝখান দিয়ে দু’টি সড়ক রয়েছে। যার নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় গত জুন মাসে। একটি সড়ক চিড়াপাড়া ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে দক্ষিন বাজার থেকে উত্তর বাজার লঞ্চঘাট পর্যন্ত বাজারের মাঝখান দিয়ে চলমান। ওই সড়কের পাশে ড্রেন নির্মানের জন্য গোটা সড়কের পাশে মাটি খনন করে কিছু অংশে ড্রেন নির্মাণ করা হয়। বাকি অংশ খনন করা অবস্থায় এবং নির্মান করা ড্রেনের ওপর স্লাব স্থাপন না করেই হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। ফলে দেকানীরা পড়েছে মহাবিপাকে। দক্ষিন বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোক্তার হোসেন জানান, সড়কটির পাশে ড্রেন নির্মাণের জন্য এমনভাবে কাটা হয়েছে যাতে সড়কের অর্ধেকটা একটি নালায় পরিনত হয়েছে। নালার মধ্যে ময়লা অবার্জনা পড়ে দুর্গন্ধ আর মশার আবাসস্থলে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত রিকশা-ভ্যান ও সাধারণ পথচারীরা দুর্ঘটনায় পতিত হন। অপর সড়কটি চিড়াপারা ব্রিজ থেকে নেমে ডাকবাংলো, উপজেলা পরিষদের পাশ দিয়ে সরকারি বালিকা বিদ্যালয় হয়ে আশ্রম পর্যন্ত। ওই সড়কটির নির্মাণ কাজও অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। দুটি কাজই করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পিটিএসএল-মিত্রি সংস্থা। এলজিইডির উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী দ্বীন মোহাম্ম্দ খান জানান, বাজারের ওই সড়কটিসহ উপজেলায় জলবায়ু প্রকল্পের চারটি রাস্তার কাজ হচ্ছে। আমরাজুড়ির মাগুরা সড়ক নির্মাণে ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, জোলাগাতি ৪০ লাখ টাকা, সয়না-রঘুনাথপুর এলাকায় এক কোটি ১৬ লাখ টাকার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে। এসব প্রকল্পে কোন টাকা পয়সা বরাদ্ধ দেওয়া হচ্ছে না, ফলে ঠিকাদার কাজ করতে পারছেন না।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এস,এম আহসান কবীর জানান, উপজেলার অভ্যন্তরীন সড়কগুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করার জন্য মাননীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close