মো. আবদুর রউফ, ধামরাই (ঢাকা)

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

গাজীখালী নদীতে সেতু না থাকায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ

ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গাজীখালী নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা বাশেঁর তৈরী সাঁকোয়। উপজেলার বালিয়া ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তি মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক জনগন সাঁকোটি দিয়ে পারাপার হয়। গাজীখালী নদীর পারে গড়ে উঠেছে কাওয়ালীপাড়া বাজার এবং তারই পাশে গড়ে উঠেছে স্কুল মাদ্রাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। নদীটির ওপর স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও কোন সেতু না হওয়ায় এলাবাসির ক্ষোভের শেষ নেই। এলাকাবাসী অভিযোগের সূরে বলেন, গাজীখালী নদীর ওপর বাশেঁর সাঁকোতে পারপারের হতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা। যা মানুষের প্রাণ নাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাওয়ালীপাড়া গ্রামটির মধ্যে প্রায় তিনশত পরিবার আছে যারা ধামরাই উপজেলার মধ্যে রয়েছে অন্যদিকে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার প্রায় কয়েকশত পরিবার রয়েছে তাদের পত্যেকেই এই বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। নদীটির পূর্ব পাড়ে রয়েছে শত বছরের কাওয়ালীপাড়া বাজার ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক। যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ হাট বাজার ও হাসপাতালেসহ বিভিন্ন কাজ করতে আসে এবং সেই সঙ্গে স্কুলের সকল ছাত্র ছাত্রীদের সাঁকোটি দিয়ে পারা পার হতে হয়। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সকল বয়সের মানুষ। ঝুঁকি নিয়ে পার হতে গিয়ে বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন স্থানিয়রা।

নদীর পশ্চিম পাশে খান পল্লীর বাগান বাড়ীর মালিক মো. শামীম খান বলেন, ‘আমরা জন্মের পর থেকে শুনে আসতেছি যে এই খানে ব্রিজ হবে কিন্তু আজ পর্যন্ত ব্রিজের কোন কাজ দেখতে পেলাম না। তবে শুনতেছি যে এই গাজীখালি নদীর উপর ব্রিজের সেনকশন হয়েছে কিন্তু ট্রেনডার আজ পর্যন্ত পেলাম আল্লাহ জানে কবে এখানে ব্রিজ হবে। শুধু নির্বাচন এলে পত্যেকেই শুধু আশ^াস দিয়ে থাকে কিন্তু সেতু পায় না।’

সাটুরিয়া উপজেলায় বাসিন্দা মো. খালেক বলেন, ‘স্কুলের ছেলে মেয়েরা অনেক ঝুঁকিতে পারা পার হয় বিশেষ করে মেয়েরা বাশেঁর সাঁকো দিয়ে পার হতে ভয় পেয়ে স্কুলে আসে না। আবার অনেকেই বাশেঁর সাঁকোর ভয়ে অন্য স্কুলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বেশি কষ্ট হয় বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে। সেতু দিয়ে যাওয়ার সময় পা পিছলে নিচে পরে অনেকেই আহত হওয়ার ঘটনা ও ঘটেছে অনেক বার।’

কাওয়ালীপাড়ার সমাজসেবক মো. শাজাহান সরকার বলেন, ‘বৃষ্টির দিনে স্কুলে ছাত্র ছাত্রীরা আসে না। যার কারণে দিন দিন স্কুলে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে সাটুরিয়া উপজেলার জাহাঙ্গীর নামে একটি ছেলেকে হাসপাতালে নিতে গিয়ে বাঁশের সাঁকো থেকে পরে ডান পায়ের হাড় ভেঙে আজ হাসপাতালে পড়ে আছে। তাই নদীটির ওপর একটি সেতুর খুব প্রয়োজন। বালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আহম্মেদ হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, ‘সেতুটির ব্যাপারে এলাকার জনগন আমাকে অবগত করেছে। আমি নিজেও সেতুর ব্যাপারে কথা বলেছি। অতি দ্্ুরত সেতুটি করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সাটুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. পিন্টু বলেন, ‘যে হেতো নদীটি ধামরাই উপজেলাধীন সেহেতো সেতুটি ধামরাই থেকে করতে হবে। কারণ আমার এখানে কিছু করার নেই।’ ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইউছুব হোসেন বলেন, ‘আমি র্স্পটে গিয়ে মাপযোগ করে সেতুটির ব্যাপারে উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব করা হয়েছে। যাতে করে অতি তাড়া তাড়ি সেতুটি নির্মাণ করা হয় সেই ব্যাপারে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close