শাহ আলম, খুলনা

  ১০ নভেম্বর, ২০১৮

খুলনায় এসএসসির ফরম পূরণে অনিয়ম আর ভিন্নতা

বিড়ম্বনায় শিক্ষার্থী-অভিভাবক

খুলনায় সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার ফরম পূরণে অনিয়মের অভিযোগ ঊঠেছে। সঙ্গে রয়েছে স্কুলপ্রতি ভিন্নতাও। ফরম পূরণ নিয়ে প্রশাসনের কড়াকড়ির পরও অনিয়মের বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। শিক্ষকরা বলেন, কিছু কিছু কমন ফিস থাকার কারণে ফরম পূরণের টাকার পরিমাণে ভিন্নতা থাকতে পারে।

জানা যায়, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নোটিস অনুযায়ী ৭ নভেম্বর থেকে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ। কোনো ধরনের বিলম্ব ফিস ছাড়াই তা শেষ হবে ১৪ নভেম্বর। ১০০ টাকা বিলম্ব ফি দিয়ে শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় পাবে ১৬ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। পরীক্ষার বিষয় প্রতি ফরম পূরণের টাকার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৯০ টাকা। আর রয়েছে কিছু কমন ফিস যা সব বিদ্যালয়ের জন্য একই। সে হিসাবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮০০ টাকা আর ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগের জন্য ১ হাজার ৬৮০ টাকা। কিন্তু খুলনার স্কুলগুলোতে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগের পাশাপাশি রয়েছে স্কুল কর্তৃক প্রদত্ত সময় নির্ধারণে অনিয়ম। প্রতিটি স্কুলে রয়েছে টাকার পরিমাণের ভিন্নতা।

এদিকে, এসএসসি ফরম পূরণের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত অর্থ নেওয়া হলে কড়াকড়ি ব্যবস্থা রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের ১০৬ নম্বরে ফোন করলে বিদ্যালয়ে ঘুরে যাবে দুদক টিম। তারপরও শিক্ষকরা যেন কোনো পরোয়া করছে না।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাজী আবদুল মালেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ স্কুলগুলোতে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। কোনো ধরনের রশিদ দেওয়া হচ্ছে না। চাইলে ‘তারা দিতে বাধ্য নয়’ বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। স্কুলগুলোতে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে শুরু করছে না। আবার নির্ধারিত সময়ের আগেই ফরম পূরণের তারিখ দেওয়া হচ্ছে। যার কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

হাজী আবদুল মালেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক অভিভাবক বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ নিচ্ছেন। কোনো রশিদ চাইলে তা ‘দিতে বাধ্য নয়’ বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। কোচিংয়ের জন্য আলাদা টাকার কথাও বলেন। অভিযোগের সূত্র ধরে স্কুলে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাজী আবদুল মালেক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণপদ গোলদার এ প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে স্কুলে আসেন বলেই তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন। তিনি বাজার করার জন্য আগেই স্কুল থেকে চলে এসেছেন বলেও জানান তিনি।

সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ঠাকুরদাস দেবনাথ বলেন, ফরম পূরণে নির্ধারিত তারিখের পরে শুরু করা হয়েছে। আর হাতে দুই দিন রেখে ১২ তারিখ শেষ করার কথা বলা হয়েছে। আর ফরম পূরণের টাকা জেলা স্কুলের থেকে ১০ টাকা কম নেওয়া হচ্ছে।

খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, কিছু কমন ফিস থাকে যা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে না নিয়ে স্কুল থেকে দেওয়া যায়। এ কারণে কোনো কোনো স্কুলে ভিন্নতা রয়েছে। আর বেসরকারি বিদ্যালয়ে বেশি নিতে পারে।

এ বিষয়ে জানার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close