শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
শ্রীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের অবৈধ ডকইয়ার্ড
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক ইউপি চেয়ারম্যান তার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের এক শ গজ দূরে ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তুলেছেন জাহাজ নির্মাণ করার অবৈধ ডকইয়ার্ড। যার নেই কোনো ধরনের অনুমোদিত কাগজপত্র। ডকইয়ার্ডের কারণে উপজেলার ভাগ্যকূল ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামটি পড়েছে বায়ু দূষণ ও শব্দ দূষণের কবলে। ফজলুল হক মেটাল নামের ডকইয়ার্ডটির মালিক ভাগ্যকূল ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ। স্থানীয়রা জানায়, প্রভাবশালী হওয়ায় কাজী মানোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে টু-শব্দটি করার সাহস করেন না ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতরের সিনিয়র কেমিস্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডকইয়ার্ডটির ছাড়পত্রের মেয়াদ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে শেষ হয়ে গেছে। প্রায় ১৫ দিন আগে পরিদর্শন করে দেখেছি খোলা স্থানে জাহাজ নির্মাণ করা হচ্ছে। বৈদ্যুতিক সংযোগ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ১০০ গজের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র এবং দুটি বিদ্যালয় রয়েছে। আবাসিক এলাকায় কোনোভাবেই এরকম প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র নবায়নের সুযোগ নেই।
শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুজ্জামান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ শিল্পে ফায়ার ছাড়পত্র দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি শ্রীনগর উপজেলার ডিজিএম মিজানুর রহমান ডকইয়ার্ডের বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জানান, আমি এই কর্মস্থলে নতুন হওয়ায় বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডকইয়ার্ডের মালিক ভাগ্যকূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ দাবি করেন তার ডকইয়ার্ডের সমস্ত কাগজপত্র নবায়ন করা রয়েছে। তবে ডকইয়ার্ডের কাগজপত্র দেখতে চাইলে নবায়নকৃত কোনো কাগজ তিনি দেখাতে পারেননি।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ডক ইয়ার্ডের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে ও ঝুঁকিপূর্ণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
"