মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
মির্জাগঞ্জে মামলা জটিলতায় দীর্ঘ হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়া
৭১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ শূন্য
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে একটি কলেজসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। উপজেলার কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দাফতরিক কার্যক্রম চলছে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে। ফলে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৬২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯টি ও একটি কলেজসহ মোট ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কমিটি নিয়ে মামলা জটিলতার কারণে প্রধানের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এ ছাড়াও ১৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬২টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ এবং ১২টি সহকারী শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। এদিকে কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০টি ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২টি সহ ৭২ জনের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুধুমাত্র দু-একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে শতাধিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকরা জানান, অতিরিক্ত ক্লাসে শিক্ষার্থী বেশি হওয়ায় শিক্ষকরা চাইলেও ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছেন না। ফলে ক্লাসে তারা কিছুই শিখতে পারছে না। দ্রুত বিদ্যালয়গুলোর শূন্য পদগুলো পূরণ করে শিক্ষার গতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিক্ষক সংকটে রয়েছে সুবিদখালী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সুলতানাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাবুয়া জনতা উচ্চ বিদ্যালয়, ভয়াং শরাফাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শ্রীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন দরগাহ শরীফ উচ্চ বিদ্যালয়। এ ছাড়া উপজেলার কিছমতপুর দেলোয়ার হোসেন কলেজের অধ্যক্ষের পদ শূন্য রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, প্রধান শিক্ষকের পদায়নের ব্যাপারে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে এবং দ্রুত শিক্ষক সংকট কেটে যাবে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী মো. সাইফদ্দীন ওয়ালীদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে মামলা চলার কারণে এসব স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রধানসহ শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কিছু দিনের মধ্যে শিক্ষক জটিলতা কাটবে বলে তিনি জানান।
"