শিবগঞ্জে শ্যামলী হত্যাকান্ড নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ
এক মাসেও জানা যায়নি হত্যার কারণ, উদ্ধার হয়নি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রসিকনগর শিরোটোলায় প্রবাসীর স্কুলপডুয়া মেয়ে শ্যামলী খাতুন হত্যার এক মাসেও কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। এমন কি ওইদিন খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, ওই হত্যাকা- নিয়ে এখনো অন্ধকারেই রয়ে গেছে পুলিশ।
২১ মে নিজ বাড়িতে খুন হন রসিকনগর শিরোটোলার দুবাই প্রবাসী কবির হোসেনের মেয়ে শ্যামলী খাতুন। ওই ঘর থেকে শ্যামলীর মা ও বোনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শুরুতে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, চুরি করতে এসেই হত্যা করা হয় শ্যামলীকে। কারণ হিসেবে জানায়, হত্যকারীরা শ্যামলী এবং তার মা ও বোনের স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
পরে শিবগঞ্জ থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, বিষয়টি রহস্যজনক। শুধু চুরি করতেই হত্যাকারী বা হত্যকারীরা বাড়িতে ঢুকেনি। কারণ ওই বাড়িতে একটি মোটরসাইকেলসহ অন্যসব দামি জিনিসও ছিল। সেগুলো নিয়ে যায়নি। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। কিন্তু এক মাস পার হয়ে গেলেও এখনো হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি খোয়া যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার এবং মোবাইল ফোনও উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
মামলার অগ্রগতি বলতে পুলিশ স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আটক করে। তবে তাদের রিমান্ডে নিয়েও হত্যাকা- সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোনো তথ্য মেলেনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, শ্যামলী হত্যাকা- নিয়ে এখনো অন্ধকারে রয়েছে পুলিশ। এখনো পর্যন্ত হত্যার কোনো রহস্যই খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। যাদের আটক করা হয়েছে তারাও হত্যা সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারছে না। তবে পুলিশ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে প্রতিদিনের মতো কবিরের স্ত্রী র দুই মেয়েকে নিয়ে ঘুমাতে যান। কিন্তু সেহরীর সময় তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশিরা খোঁজ নিতে আসে দরজা খোলা ও আসবাবপত্র তছনছ অবস্থায় দেখেন। পরে শোয়ার ঘরে তিনজনকেই অচেতন দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে আলেয়া বেগম ও চম্পা খাতুনের জ্ঞান ফিরলেও শ্যামলী খাতুনের জ্ঞান ফেরেনি। শ্যামলীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
"