ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
চাঁদা না পেয়ে নিজ স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিলেন প্রধান শিক্ষক
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণে চাঁদা না পেয়ে নির্মাণ কাজে বাধা ও ঠিকাদারের লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গত ৯ জুন শনিবার দুপুরে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের মালমারা গ্রামের নয়া মালামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন চাঁদা না পেয়ে তার প্রতিষ্ঠানের স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে ঠিকাদারের রাজমিস্ত্রিকে মারধর করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ এইচ কে এন ই (জেভি) পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক সজিব হোসেন প্রতিদিনের সংবাদকে জানান, ‘প্রকল্পের কার্যাদেশ মতে দেড় বছর আগে কাজটি শুরু করি। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকে প্রতিনিয়ত প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন কাজে বাধা প্রদান করে আসছে। গত শনিবার বিদ্যালয়টির কাজ শুরু করতে গেলে ওই প্রধান শিক্ষক নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে নৈশপ্রহরী ও রাজমিস্ত্রিকে মারধর করে তাদের ভবন ত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি বিদ্যালয়টির নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ আটকে আছে দেড় বছর ধরে। কাজ আটকে রেখেছেন ওই বিদ্যালয়েরই প্রধান শিক্ষক। ভাবা যায়! যেন হীরক রাজার দেশ। দেখার কেউ নেই। প্রধান শিক্ষক সেই ঠিকাদারি কাজের ভাগ চান। আরো ভালোভাবে বললে চাঁদা দাবি করে আসছেন। তার অনেক দাবিই এরই মধ্যে ঠিকাদার পূরণ করেছে। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে ঠিকাদার আবার কাজ শুরু করেন। যথারীতি প্রধান শিক্ষক সবাইকে মারতে উদ্যত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, প্রকৌশলী ও শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিদ্যালয়ে গিয়ে কাজ শুরু করিয়ে দিয়ে আমরা চলে আসি। আমরা যাচ্ছি এ খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক আত্মগোপন করেছিল, তাকে পাওয়া যায়নি। আমাদের বিদ্যালয় থেকে আসার পর পর ওই শিক্ষক আবার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পরে শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালাম তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। এছাড়াও ঠিকাদারকে থানায় মামলা করতে বলেছি।’ এ ব্যাপারে কথা বলেতে নয়া মালামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
"