নাটোর প্রতিনিধি
ছাতনী গণহত্যা দিবস আজ
আজ (৪ জুন) নাটোরের ছাতনী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা প্রায় ৪৫০ বাঙালিকে গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে এবং গলা কেটে হত্যা করে। সেই বিভীষিকাময় রাতের কথা স্মরণ করলে আজও আতঙ্কে শিউরে ওঠে ওই এলাকার মানুষ।
মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে বিভিন্ন স্থানে যে গণহত্যা চালানো হয়, তার মধ্যে নাটোরের ছাতনী গ্রামের গণহত্যা ছিল নৃশংস ও হৃদয়বিদারক। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও সেই শহীদদের বা তাদের পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যে জোটেনি আজও কোনো সরকারি স্বীকৃতি। যদিও তাদের স্মরণে স্থানীয়ভাবে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটি জেলা পরিষদের অর্থায়নে বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। শহীদ পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত শহীদদের সরকারি স্বীকৃতি ও হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হোক। সরকারিভাবে দিবসটি পালনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর উত্তরাঞ্চলের হেডকোয়ার্টার ছিল নাটোরে। ফলে এখানে বড় ধরনের কোনো লড়াই হয়নি। তবে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদররা নাটোরের বিভিন্ন স্থানে চালিয়েছে গণহত্যা। নাটোর শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার পশ্চিমে বর্ধিষ্ণু গ্রাম ছাতনী। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা তৎকালীন এমসিএ শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর বাড়ি ছাতনী গ্রামে হওয়ায় এই জনপদের অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। এ কারণে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার আলবদরদের আক্রোশে পড়ে এ গ্রাম। স্থানীয়ভাবে সাদামাটাভাবে দিবসটি পালন করলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি পালন করার কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি।
"