সাহারুল হক সাচ্চু, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

  ০৮ মে, ২০১৮

খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে উল্লাপাড়া সওজের মালামাল

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অফিস চত্ত্বরে প্রায় সবকিছুই বেহাল হয়ে গেছে। এখানে মূল্যবান বিভিন্ন মালামাল খোলা আকাশের নিচে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অনেক কিছু নষ্টও হয়ে গেছে। এ অফিস এলাকাতেই সওজের কর্মচারীদের অনেকেই যে যার ইচ্ছেমত ঘর দরজা তুলে বসবাস করছেন।

সরেজমিনে জানা গেছে, চাকরি থেকে অবসরে গেলেও হায়দার আলী নামে একজন আবাসিক ভবনে গোটা পরিবার পরিজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। এদিকে অফিসের ভিতরে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও অফিস ভবন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থা হয়েছে। এ অফিসের প্রধান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তার নির্ধারিত আবাসিক ভবনে থাকেন না। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উল্লাপাড়া উপ-বিভাগীয় কার্যালয়টি স্টেশন বাসস্ট্যান্ড এলাকার কাছাকাছি নিজস্ব জায়গাতেই অবস্থিত। এ অফিসে বিশাল নিজস্ব জায়গা রয়েছে। এখানে অফিস ভবন, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বসবাসের বেশ কয়েকটি পাকা আবাসিক ভবন রয়েছে। এছাড়া বিশাল খোলা প্রান্ত রয়েছে। এ খোলা জায়গাতেই বছরের পর বছর ধরে মূল্যবান মালামাল ফেলে রাখা হয়েছে। এতে অনেক মালামাল সঠিক সংরক্ষণ না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ট্রাক, রোলার মেশিন অবহেলায় থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ চত্ত্বরে অনেকগুলো কাঠের গুল ফেলে রাখায় রোদে, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ অফিস এলাকাতেই কর্মচারীদের বসবাসে আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনে কর্মচারীরা বসবাস করে। এর পাশাপাশি কর্মচারীরা অফিসের জায়গাতেই তাদের ইচ্ছে মত ঘর দরজা তুলে বসবাস করছে।

আরো জানা গেছে, এখানে সওজের সেকশন অফিসার, কার্য সহকারী, হেলপার, নিরাপত্তা প্রহরী মিলে ১৫ জন বসবাস করছে। এদের মধ্যে হায়দার আলী নামে একজন চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও সরকারি বাসাতেই দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী বসবাসের একটি আবাসিক ভবন থাকলেও তিনি এখানে বসবাস করেন না। এটি মাসের পর মাস তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

এ নিয়ে উল্লাপাড়া সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জহরুল আলম প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, আমার জন্য নির্ধারিত বাস ভবনটি বসবাসের অযোগ্য হওয়ায় তিনি অন্যত্র ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। আর কর্মচারীদের ইচ্ছেমত ঘর দরজা তুলে বসবাসের বিষয়ে তিনি বলেন, কোন বিধান বা নিয়ম না থাকলেও তারা অনিয়ম করেই ঘর তুলে বসবাস করছে। আর চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া ওই ব্যক্তি অনিয়ম করে সেখানে থাকছেন। মালামাল সংরক্ষণের শেড না থাকায় তা খোলা অবস্থাতেই রেখে দেওয়া আছে। একটি শেডের জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন জানানো হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist