চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
ফেরত আসা বাংলাদেশি ৮ নারী ও শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন হয়ে ফেরত আসা বাংলাদেশি সাত নারী ও শিশুকে সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ফেরত আসা ঢাকার গুলশানের বুটঘাটের আবুল কাশেম ওরফে ফটিক আলীর মেয়ে খাদিজা খাতুনকে (২০) বেসরকারি এনজিও সংস্থা এসিডি, রাজশাহী অফিসের সেফহোমে হস্তান্তর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে ও গতকাল শুক্রবার দুপুরে নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন স্থানীয় পুলিশ ও সমাজসেবা কর্মকর্তারা। এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনামসজিদ জিরো পয়েন্ট হয়ে ভারতীয় পুলিশের প্রতিনিধি দল শিবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে আট নারী ও শিশুকে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা বাংলাদেশিরা হলেন বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছী পূর্বপাড়ার বাচ্চু মিয়ার মেয়ে শাপলা খাতুন, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার সফি রহমানের মেয়ে নুরুন নেসা, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার আঠাপাড়ার আবদুল আজিজের মেয়ে রোজিনা খাতুন, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার চর ধলেশ্বরী কলাগাছীর মেরাজুল ব্যাপারীর মেয়ে সেলিনা বেগম, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা দিঘিরপাড়ের জামিরুল ইসলামের মেয়ে জেসমিন খাতুন, খুলনার দৌলতপুর উপজেলার দেওয়ান মোল্লাপাড়ার সোহাগী খাতুন ও তার ছোট বোন আগরী খাতুন। তারা সবাই প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আগে পাচারকারীদের কবলে পড়ে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে, ফেরত আসা আট নারী ও শিশু জানিয়েছে, ভারতের সেফহোমে বাংলাদেশি আরো আট নারী ও শিশু আটক রয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কবীর হোসেন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে ফেরত আসা বাংলাদেশি সাত নারী ও শিশুকে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া খাদিজাকে এনজিও সংস্থা এসিডির সেফহোমে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) কবীর হোসেন, উপপরিদর্শক রনি কুমার দাস ও ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সংশ্লিøষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
"