পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর সরকারি স্কুলে এক কক্ষে চলে তিন ক্লাস
পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের মূলগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে একটি কক্ষে তিনটি ক্লাস। বিদ্যালয়ে মোট দুইটি কক্ষ রয়েছে তাতে ক্লাস হয় শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুইট শিফটে। পাশে আছে স্কুলটির একটি পরিত্যক্ত ভবন। এটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ভবন পরিত্যক্ত হওয়ায় পাশে ২০০৭- ২০০৮ অর্থ বছরে এলজিইডির অর্থায়নে তৈরি হয় মাত্র দুটি কক্ষের একটি বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ে প্রায় আড়াই শো ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করে। বিদ্যালয়ে নেই কোনো শিক্ষকদের বসার কক্ষ বা দপ্তর রুম। বিদ্যালয়ে (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক পঞ্চমিতী হালদার জানান, তাদের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ছয়টি শ্রেণির ক্লাস তারা দুইটা সময় ভাগ করে নেন। দুইটি থাকায় একটি কক্ষে দুইটি শ্রেণির ক্লাস নিতে হয়। তিনি আরো বলেন, আমাদের অনেক আগের পরিত্যক্ত একটি ভবনে শিক্ষকদের সকল কার্যক্রম ও দপ্তরের কাজ করা হয়। ঐ পরিত্যক্ত ভবনটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
কিছুদিন আগে বিদ্যালয়ের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা শহিদুল ইসলামের গায়ে সিলিং ফ্যান পড়ে তিনি রক্তাক্ত হন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. ফজলুল হক জানান, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকার কথা আমি আগেও শিক্ষা অফিসে জানিয়েছি এবং আপনাদের সংবাদ মাধ্যমেও শিক্ষা অফিসে জানাতে চাই। বিদ্যালয়টি চারপাশে বাউন্ডারি করারও আবেদন জানাচ্ছি যাতে করে স্কুলের শিশুরা খেলার সময় রাস্তায় না যেতে পারে। এ দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিকদার আতিকুর রহমান জুয়েল বলেন, এই বিদ্যালয়টির ব্যাপারে আমরা জেলা শিক্ষা অফিসে লিস্ট পাঠিয়েছি খুব তাড়াতাড়িই ঐ বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধান করা হবে।
"