ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

দুই লড়াইয়েই জিততে চান রুবেল

মরণব্যাধি ক্যানসারকে অনেকটাই জয় করেছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের জনপ্রিয় মুখ ও একসময়ের জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোশরারফ হোসেন রুবেল। মস্তিষ্কে যে ঘাতক ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটাকে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। পুরোপুরি নির্মূলে এখন চলছে কেমো ও রেডিও থেরাপি। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। ক্যানসারযুদ্ধে জয়ী রুবেল এবার নামছেন মাঠের যুদ্ধে। যার শুরুটা হচ্ছে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে।

৫ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া লঙ্গার ভার্সনের এই ক্রিকেটকে সামনে রেখে বেশ কয়েক দিন হলো অনুশীলন করছেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। সেই ধারাবাহিকতায় গতকালও এসেছিলেন মিরপুরে। জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠের নেটে তামিম ইকবালের বিপক্ষে বোলিং করেছেন। তার বোলিং দেখে একবারও মনে হয়নি এত বড় ঝড় তার জীবনের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। নিখুঁত লেংথ, ফ্লাইট ও টার্নে তামিমকে পরাস্ত করেছেন একাধিকবার।

অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রুবেল জানালেন, জীবন যুদ্ধের মতো মাঠের যুদ্ধেও নিজেকে জয়ীর বেশে দেখতে চান। তবে কাজটি সহজ হবে না, ‘অবশ্যই এটি কঠিন হয়ে যাবে। যেহেতু আমার কেমো থেরাপি চলছে এখনো, শেষ হয়নি। ডাক্তার বলেছে এর মধ্যে আমি খেলতে পারব। যে কদিন কেমো থেরাপি চলে ওই কয়েক দিন বাদ দিয়ে এক সপ্তাহ পর থেকে খেলতে পারব। আমি অবশ্য এখন থেকেই অনুশীলন করছি। আগেও অনুশীলন করেছি। যুদ্ধ তো করতেই হবে। তা ছাড়া কী আর করার আছে। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটুকু লড়াই করা যায়, টিকে থাকা যায়। দোয়া করবেন আমার জন্য।’

ক্রিকেট মহলে গুঞ্জন, এনসিএলের ২০১৯-২০ মৌসুমের জন্য নতুন নিয়ম করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খেলতে হলে প্রতিটি ক্রিকেটারের ফিটনেস লেভেল থাকতে হবে চাহিদার চেয়ে ভালো। ফিটনেসের মান নির্ণায়ক বিপ টেস্টে যারা ১১ নম্বর পাবেন না, তারা টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটকে প্রতিযোগিতামূলক করতে বিসিবির করা এমন নিয়মকে সাধুবাদ জানালেন রুবেল।

৩৭ বছর বয়সি ক্রিকেটারের ভাষ্য, ‘আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামো আরো প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য এটি খুবই জরুরি ছিল। যদি ঘরোয়া ক্রিকেটের অবকাঠামো শক্তিশালী না হয় তাহলে একটা খেলোয়াড় তো কখনো আন্তর্জাতিক লেভেলে মানিয়ে নিতে পারবে না। তবে ঘরোয়া পর্যায় থেকেই সে যদি পারফর্ম করে আসে, তাহলে সেই জায়গায় গিয়ে থিতু হতে পারে। এটার জন্য এমনটা (ফিটনেস লেভেল) জরুরি ছিল।’

‘আমাদের জন্য ১৫ দিন বা এক মাসের জন্য কন্ডিশনিং ক্যাম্প হলে ভালো হতো। যদিও এখন সময় নেই। প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা বিভাগ যদি এক মাস কন্ডিশনিং ক্যাম্প করত এবং এরপর যদি এই পরীক্ষাগুলো দিত, তাহলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হয়। যেহেতু এখন সময় নেই, আশা করি আগামী বছর থেকে এটা হবে’- যোগ করেন ক্যানসারজয়ী রুবেল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close