জাকির আজাদ
একগুচ্ছ ছড়া
১
রিয়ার টিয়া খুঁজে পায় না
শূন্য এখন খাঁচা,
টিয়ার খোঁজে বের হয়েছে
রিয়ার ছোট চাচা।
সন্ধান দিতে এক বিজ্ঞপ্তি
পত্রিকায় হয় ছাপা,
তন্ত্র-মন্ত্র করার জন্য
তান্ত্রিক ডাকল আপা।
আশপাশের বাড়ির ছাদে
ঢেলে রাখল আঠা,
টিয়া এসে বসতে যেন
আটকে যায়রে পাটা।
মন্ত্র পড়ে তান্ত্রিক জানায়
টিয়ার সবই জানা,
কেমন করে আসবে উড়ে
ভেেেছ তার ডানা।
২
লোকটা কাঁদে এবং হাসে
নানা রকম সাউন্ডে,
রোজ সকালে ওজন মাপে
কেজি নয়রে পাউন্ডে।
কর্ম নাই তাই দিনভর থাকেন
অলিগলি রাউন্ডে,
রাত্রি হলে শুয়ে পড়েন
কোনো খোলা গ্রাউন্ডে।
খিদে পেলে পানি খাবেন
গ্যালনে নয় আউন্সে,
লোকটার নাকি চাকরি ছিল
বিমানবন্দর লাউন্সে।
শখের বশে ক্রিকেট খেলে
বলের একটা বাউন্সে,
ফাটল মাথা সাথে গেল
যে চাকরিটা লাউন্সে।
৩
জোনাক পোকা সই পাতাল
ঝিঁঝি পোকার সনে,
তাইতো গানের জলসা হবে
আজকে রাতে বনে।
দাওয়াত পেল সব পোকা
ফড়িংয়ের দুই কনে,
প্রজাপতি সেই আনন্দে
নাচে ক্ষণে ক্ষণে।
সুরে সুরে গাইবে যে গান
ঝিঁঝি পোকার দলে,
জলসা বসবে বনের কোণে
কদমগাছের তলে।
নাচন দেবে গঙ্গা ফড়িং
সেই নাচনের ফলে,
জোনাক পোকা জ্বালবে আলো
‘বহুত খুব’ বলে।
৪
গুলি খেয়ে মরল পাখি
যে পাখিটা শিলার,
অনেক খুঁজে পায়নি তাকে
কে যে ছিল কিলার।
সিসার গুলি রক্ত ঝরায়
পাখির নরম সিনার,
রক্তে রঞ্জিত সারা শরীর
নাইরে উপায় চিনার।
এই শত্রুতার কারণ ভেবে
পায় না কূলকিনার,
দুঃখে শিলার দুদিন ধরে
বন্ধ লাঞ্চ ও ডিনার।
সবাই কয়, স্রেফ দুর্ঘটনা
নয় সাসপেন্স-থ্রিলার,
পাখির জন্য আঁখি ভিজে
ঘুম আসে না শিলার।
৫
জোহা মণি নাচন করে
নাচের নাইরে সীমা,
নাচটা দেখে হিংসা করে
ফর্সা দাদু রীমা।
রীমা দাদু ভীষন খাটো
চুল পাকতে নাই বাকি,
কলপ দিয়ে কালো করে
দেয় সবাইকে ফাঁকি।
জোহার সাথে নাচতে গেলে
তার যে ভয়টা ভারি,
কোমড় ভাঙে না ঠ্যাং ভাঙে
নাকি দাঁত ও মাঢ়ি।
রীমা দাদু দুঃখে তাই
কপালে মারে চাটি,
জোহা মণি নাচন করে
কি যে ফাটাফাটি।
"