নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কাজ করবে ১৫ টিম

চলতি মৌসুমে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ও ন্যায্যমূল্যে পাট কেনা নিশ্চিত করতে ১৫টি টিম গঠন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গঠিত টিমগুলো বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) পাট কেনা মনিটরিং করবে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় বিজেএমসির মিলগুলোতে পাট কেনা-সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা আনয়ন, মানসম্মত পাট কেনা নিশ্চিতকরণে এ উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে অনিয়ম-ত্রুটি দূরীকরণের লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত বিজেএমসির পাটক্রয় কেন্দ্র তদারকি করাসহ পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম কাজ করবে।

জানানো হয়, এসব টিম পাট কেনাকালীন মৌসুমে প্রতি মাসে অন্তত একবার সরেজমিনে ক্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করবে। দৈনিক পাট কেনা-সংক্রান্ত তথ্যাদি (পরিমাণ, গ্রেড, দর, মিলে সরবরাহের পরিমাণ) সংগ্রহ ও মনিটরিং করবে। পাট ক্রয়কেন্দ্রের সাপ্তাহিক প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। পাট ক্রয়কেন্দ্র-সংক্রান্ত কোনো অনিয়ম বা সমস্যা দেখা দিলে, তা সমাধানের জন্য ক্রয়কেন্দ্রে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবহিত করবেন।

বিজেএমসি প্রতি বছর নিজস্ব ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ও ন্যায্যমূল্যে পাট কেনা নিশ্চিত করে। গত মৌসুমে বিজেএমসি ৯৮টি ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পাট কেনার কাজ সম্পন্ন করে। এ বছর বিজেএমসি ৫৭টি ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পাট কেনা পরিচালনা করছে।

প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে সারা দেশে ১৭ লাখ ৫২ হাজার একর জমিতে পাট উৎপাদন করা হয়েছে। কৃষক যাতে পাটের সঠিক মূল্য পান; সেজন্য বিজেএমসি থেকে পাটের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে সরাসরি পাট কেনা হচ্ছে।

এতে চাষিরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মিলঘাট ছাড়াও ৪৮টি ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে পাট কেনার কার্যক্রম চলমান আছে। এ ছাড়া উন্নত জাতের পাটবীজের অভাব ও আমদানিনির্ভরতা, পাট পচনের জন্য পানির স্বল্পতা, দেশব্যাপী পাট অধিদফতরের দফতর, জনবল ও যানবাহন না থাকা, আন্তর্জাতিক বাজার সংকোচন, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, রফতানির ওপর ভারত কর্তৃক অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ ও পর্যাপ্ত বিদেশি বিনিয়োগের অভাব। তবে এসব সমস্যা নিরসনে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close