নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ অক্টোবর, ২০১৮

নারীর হাতেই হয় কৃষির গোড়াপত্তন

কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘কৃষি মেয়েদের জন্যই। কৌম সমাজে নারীর হাতেই হয়েছিল কৃষির গোড়াপত্তান। এখনো কৃষিতে নারীর বিরাট অবদান রয়েছে। কৃষিতে নারীর এই মূল্যায়নের স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা ঐক্যবদ্ধ চেষ্টা চালাতে হবে। আন্দোলনও হতে পারে।’ আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার দৈনিক ইত্তেফাকের মাজেদা বেগম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও দৈনিক ইত্তেফাক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আদিম সমাজে পুরুষরা পশু শিকার করত এবং যুথবদ্ধ গোষ্ঠীভিত্তিক মানুষদের জন্য প্রকৃতি থেকে গার্হস্থ্য দ্রব্যাদি জোগাড় করত। সে সময় বাসস্থানের আশপাশের জমিতে কৃষির প্রচলন নারীদের হাত ধরেই হয়। কৃষি খেত থেকে প্রাপ্ত খাদ্য নিরাপত্তার কারণেই যাযাবর মানুষরা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু করে। গড়ে ওঠে পরবর্তী আরো সুন্দর সমাজ, স্থায়ী জনবসতি।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্ব করেন দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। স্বাগত বক্তব্য দেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন নিলর্মী।

সেমিনারের মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, নারীর শ্রমশক্তির শতকরা ৬৬ ভাগই কৃষিতে নিয়োজিত। গত দুই দশকে কৃষিতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ১৩৪%। একই সময়কালে কৃষিতে পুরুষের অংশগ্রহণ কমেছে ২%। অর্থনীতিতে নানামুখী প্রণোদনার সাপেক্ষে কৃষি এবং গ্রামভিত্তিক কাজ ছেড়ে পুরুষরা শহরমুখী হচ্ছেন। তবে কৃষিতে নারীর এই ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়নে কতটুকু ভূমিকা রাখল। সেটি বিশেষভাবে খেয়াল করার বিষয়। সেমিনারে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, বি আইডিএস-র সিনিয়র গবেষক ড. নাজনীন ও বি আইডিএস-র সাবেক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো প্রতিমা পাল মজুমদার প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close