গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শ্বশুর বাড়ি পাশ থেকে জামাই বিল্লাল গাজীকে (৪০) ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত তিনটার দিকে উপজেলার চরকুশলী গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যার শিকার বিল্লাল গাজী পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামের মোখলেস গাজীর ছেলে। টুঙ্গিপাড়া থানার পরিদর্শক (ওসি) খন্দকার আমিনুর রহমান রবিবার (৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৭ বছর আগে টুঙ্গিপাড়ার চরকুশলী গ্রামের সরোয়ার মোল্লা নামে এক ব্যক্তি বাড়ি হতে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় সরোয়ারের পরিবারের লোকজন বিল্লাল গাজী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ ( সিআইডি) বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে। এ ঘটনায় বিল্লাল গাজী স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থান করছিলেন।

• ৭ বছর আগে একজন নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় আলমগীরদের সঙ্গে বিরোধ
• স্ত্রী-সন্তান নিয়ে দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থানের পর মাসখানিক ধরে শ্বশুরবাড়িতে থাকছেন বিল্লাল গাজী
• হত্যায় জড়িত সন্দেহে আলমগীরের স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক

এদিকে প্রায় এক মাস আগে বিল্লাল দেশে ফিরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার চরকুশলী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে নিখোঁজ সরোয়ার মোল্লার লোকজন সিআইডিকে খবর দেয়। তখন সিআইডি বিল্লালের শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে যায়। পরে বাদী পক্ষের আলমগীরসহ তার লোকজন জামাই বিল্লালকে খুঁজতে থাকে।

ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান জানান, শনিবার রাত ২টার দিকে বিল্লালের শ্বশুরবাড়ির পাশের কলাবাগানের মধ্যে খুঁজে পায় আলমগীর ও তার লোকজন। সেখানে লাঠি দিয়ে বিল্লালকে এলোপাতাড়ি মারধর করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় আলমগীররা। সেখানে নিয়ে আবারও মারধর করলে রাত ৩টার দিকে বিল্লালের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত আলমগীরের স্ত্রী যুথি আক্তারসহ তিজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিল্লালের পরিবার থেকে মামলা করা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

পিডিএস/আরডি