রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ০৯ মার্চ, ২০২৪

রায়পুরায় অভিযোগ

রাস্তার ইট বিক্রি ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের

ছবি: প্রতিদিনের সংবাদ

নরসিংদীর রায়পুরায় পাঁচশ মিটার রাস্তার পুরোনো ইট তুলে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম (তপন) ও দুই ইউপি সদস্য কাজল মিয়া ও এসডু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান ওই দুই ইউপি সদস্যের মতামতের ভিত্তিতেই উপজেলার গোকলনগর এলাকার বাসিন্দা সেলিম মিয়া রাস্তার ইট শ্রমিক দিয়ে তুলে তার বাড়ির আঙিনায় নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে দুই হাজার ইট তার চাচাতো ভাই রফিকুল ইসলামের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন সেলিম।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের গকুলনগর এলাকায় নির্মিত ইটের সলিং এর রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পরে পুনরায় রাস্তাটি নির্মাণের জন্য তিন মাস আগে দরপত্র আহবান করা হয়। পরে এ কাজ পান স্থানীয় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের নরসিংদী জেলা পরিষদ ও রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদ যৌথ ব্যয়ে গোকলনগরে আসাদ মিয়ার দোকান থেকে হাসিন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত পাঁচ শ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল।

গত বুধবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার ইট দিয়ে ঘর তৈরী করছেন তিনজন রাজমিস্ত্রি। দুজন নারী পুরোনো ইটের গায়ে থাকা ময়লা পানি দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার করছেন। পাশেই সারিবদ্ধ ভাবে রাখা আছে রাস্তার পুরোনো ইট। আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেলিম মিয়া। কথা বলে জানা যায়, সেলিম আগে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।


  • ইট বিক্রির কথা স্বীকার করেন সেলিম ও রাধানগর ইউপি সদস্য এসডু মিয়া
  • জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ নেওয়ার আশ্বাস ইউএনও রোজলিন শহীদ চৌধুরীর

সেলিম মিয়া জানান, চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নির্দেশে স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে রাস্তার ইটগুলো তুলে তার বাড়ির আঙিনায় রাখেন। ইটগুলো আনতে তার ৫৫ হাজার টাকা শ্রমিক ও গাড়িভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে। সেই ব্যয়ের ভাউচার দিলেও ইউনিয়ন পরিষদ টাকা দিতে পারছেন না। পরে শ্রমিক ও গাড়িভাড়া পরিশোধ করতে দুই হাজার ইট পনেরো হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি।

এদিকে, ওই রাস্তা থেকে শ্রমিক দিয়ে কত হাজার ইট তুলেছেন এ তথ্য দিতে রাজি হননি সেলিম।

সরকারি রাস্তার ইট বিক্রির সুযোগ নেই জানিয়ে রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম তপন বলেন, ইট বিক্রি হয়ে থাকলে ইউপি মেম্বারদের এই দায় নিতে হবে। আমার সঙ্গে আলাপ করে তারা এ কাজ করেনি। এর দায়ভার আমি নেব না।

রাস্তার ইট বিক্রির দায় স্বীকার করে রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এসডু মিয়া বলেন, ‘ইট তুলে আনতে শ্রমিক ও গাড়িভাড়া বাবদ অনেক টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই টাকা পরিশোধ করতে কিছু ইট বিক্রির জন্য বলেছি।’

রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ‘সরকারি রাস্তার ইট বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ নেওয়া হবে।

পিডিএস/জেডকে

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রায়পুরা,নরসিংদী,ইট,ইউপি চেয়ারম্যান,অভিযোগ
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close