ফুলপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

  ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

ফুলপুর-হালুয়াঘাটের মানুষের পারাপারে ভরসা নৌকা

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাঁশতলা গ্রাম ও হালুয়াঘাট উপজেলার বালিঝুড়ি গ্রামের মধ্যবর্তী কংশ নদী পারাপার নৌকায়। -প্রতিদিনের সংবাদ

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বাঁশতলা গ্রাম ও হালুয়াঘাট উপজেলার বালিঝুড়ি গ্রামের মধ্যবর্তী কংশ নদীতে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দুই উপজেলাবাসীর। সারা বছর রশিটানা নৌকা দিয়ে পারাপার করছেন দুপারের লোকজন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ফুলপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঁশতলা ও হালুয়াঘাট উপজেলার বালিঝুড়ি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কংশ নদীটি শুকনো মৌসুমে নাব্যতা হারালেও পারাপারে ভোগান্তি। দুইপারে রশি বেঁধে টেনে নৌকা দিয়ে পার করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও মালামাল। হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই, বিলডোরা ও আমতৈল ইউনিয়নের জনসাধারণকে ফুলপুর উপজেলা সদরসহ ময়মনসিংহ শহরে যাতায়াতের জন্য ছোট রাস্তা হিসাবে এই ডেফুলিয়া ফেরিঘাট ব্যবহার করতে হয়। অপরদিকে ফুলপুর উপজেলার লোকজনকে হালুয়াঘাট উপজেলার বেশ কয়টি ইউনিয়নের গ্রামে চলাচল করতে এ ফেরিঘাট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু পারাপারের দুর্ভোগের কারণে ছোট পথ ছেড়ে হালুয়াঘাট উপজেলার নাগলা দিয়ে অতিরিক্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল করতে হয়। অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরতে হয় বলে হালুয়াঘাট উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করার ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। বর্ষাকালে নাব্যতা ফিরে এলে নদীর প্রশস্ততা বেড়ে যাওয়ায় পারাপারের ভোগান্তি হয়। ভোগান্তির অবসানে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি দুই উপজেলার ভুক্তভোগী মানুষের।

হালুয়াঘাট উপজেলার চরপাড়া গ্রামের উৎপল পাল বলেন, প্রয়োজনীয় কাজে নদী পার হতে ইজারাদারকে জনপ্রতি ৫ টাকা ও প্রতি মোটরসাইকেল ১০ টাকা করে দিতে হয়। বালিঝুড়ি গ্রামের শিক্ষার্থী উম্মে হেনার জানায়, প্রতিদিন তাকে বালিজুড়ি থেকে নদীর ওপারে বাঁশতলা স্কুলে যেতে হয়। নৌকা পারাপারের জন্য তার পরিবারকে ঘাটে মাসিক ১৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।


  • দুই পারে রশি বেঁধে টেনে নৌকা দিয়ে পার করা হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও মালামাল।
  • অতিরিক্ত ১৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে চলাচল।

ফুলপুর উপজেলার শাকুয়াই স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মো. জুলমত আলী বলেন, ওপাড় থেকে জরুরি কোনো রোগী জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে অতিরিক্ত অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। এখানে একটা সেতু নির্মিত হলে মানুষের দুর্ভোগ কমতো। সেতু না থাকায় দুইপারের ছাত্রছাত্রীদের যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত বিঘিœত হয়। বর্ষায় নদী খর¯্রােতা রূপ নিলে নৌকাডুবির আশঙ্কা থাকে।

ডেফুলিয়া ঘাটের ইজারাদার মজিবুর রহমান বলেন, ‘এ বছর ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় জেলা পরিষদ থেকে এই ঘাট ইজারা নিয়েছি। জনপ্রতি পারাপার ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল ২০ টাকা করে নিয়ে থাকি। দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পেয়ে থাকি।’

হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস আলী খান বলেন, এখানে একটি সেতু না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ব্যাপারে হালুয়াঘাট আসনের এমপি জুয়েল আরেং-এর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি একটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন।

ফুলপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল ফকির জানান, এ ব্যাপারে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী এর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সেতু নির্মাণে দ্রæত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

পিডিএস/এস

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ময়মনসিংহের ফুলপুর,ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট,কংশ নদী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close