পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে রোজিনা আক্তার (২০) নামে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের মকুমা গ্রামে স্বামীর ঘর থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

গৃহবধূ রোজিনা ওই গ্রামের আবুল হাওলাদারের ছেলে রাকিব হাওলাদারের স্ত্রী ও উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী গ্রামের কামাল দফাদারের মেয়ে। এদিকে ওই গৃহবধুকে তার স্বামী হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে দাবি স্বজনদের।

জানা যায়, ঘটনার দিন সকালে রোজিনার স্বামী পার্শ^বর্তী দেউলী বাজারে নিজের দোকানে ও শ্বশুর-শাশুড়ি পাশের বাড়িতে কিস্তি দিতে যায়। পরে বেলা ১১টার দিকে রোজিনার ভাসুরের ছেলে রায়হান (১১) ডিম আনতে তাদের ঘরে যায়। এ সময় তাকে (রোজিনা) ঘরের রুয়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখে ডাক-চিৎকার দেয় রায়হান। এতে বাড়ির লোকজন দৌঁড়ে এসে মরদেহ ঝুলতে দেখে স্বজনরা স্থানীয় ইউপি সদস্য ও মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়।

রোজিনার স্বজনরা হত্যার দাবি করে জানান, বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন কারনে ঝগড়া লেগেই থাকতো। পরে রোজিনা অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্বের সন্তানকে অস্বীকার করে স্বামী রাকিব। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া তীব্র আকার ধারণ করে বলেও দাবি স্বজনদের।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।

পিডিএস/আরডি