কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)প্রতিনিধি:

  ১১ মে, ২০২২

কমলগঞ্জে 

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে ছাত্রকে ধরে নিয়ে বেদড়ক পেঠানোর অভিযোগ

ছবি : প্রতিদিনের সংবাদ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুরে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রকে রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে বেদড়কভাবে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। গুরুতরভাবে আহত কলেজ ছাত্র কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। আদমপুর ইউনিয়নের উত্তরভাগ গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১১টায় আদমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি আনোয়ার হোসেনের উত্তরভাগ বাড়ির সামনে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহত মাসুক পারভেজ ইমন (২০) মধ্যভাগ গ্রামের কবির আহমদের ছেলে। হামলাকারি উপজেলার আদমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি আনোয়ার হোসেন, তার ভাতিজা রুবেল আহমেদ, শালা জবলু মিয়া ও মুন্না মিয়া।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন কলেজ ছাত্র মাসুক ফারভেজ ইমন অভিযোগ করে বলেন, তার মামা সম্প্রতি বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার রাতে তার মামার বাড়িতে যাবার পথে উত্তরভাগ এলাকার রাস্তা থেকে আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাতিজা রুবেল আহমেদ, শালা জবলু ও মুন্না তাকে ধরে নিয়ে আটকিয়ে বেদড়কভাবে পেটায়। পরে তার মা’কে খবর দিয়ে তার কাছে হস্তান্তর করে। তাকে পরিবার সদস্যরা কমলগঞ্জ থানার পুলিশকে অবহিত করে রাতেই কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলাকারীরা তাকে পেটানোর সময় তার কাছ থেকে নগদ দের লক্ষ টাকা, একটা বেসলেট ও মোবাইফোন লুটে নেয়।

আহত কলেজ ছাত্রের মামা প্রবাসী মোস্তাকার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাগ্নে মাসুক পারভেজ ইমনের জখম গুরুতর। তাকে বিকেলেই মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হবে। তার প্রাথমকি চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।

তবে অভিযোগ সম্পর্কে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কলেজ ছাত্র মাসুক পারভেজ তাদের বাড়ির কলেজ পড়ুয়া এক ছাত্রীকে প্রায়ই ইভটিজিং করে। এ নিয়ে এর আগেও ছেলের বাবার কাছে বিচার দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতেই সে তাদের (আনোয়ারের) বাড়ির সামনে এসে বাহির থেকে নানাভাবে জ্বালাতন করছিল। তখন তাকে ধরে নিয়ে তার মা’কে ডেকে এনে তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে মাত্র। পরে হয়তো তার বাবাসহ পরিবার সদস্যরা তাকে মারধর করেছেন।

কলেজ ছাত্র মাসুক পারভেজ ইমনের মা বলেন,আমার ছেলেকে খুব অত্যাচার করা হয়েছে। তাকে মেরে ফেলার প্লান করেছে আনোয়ার সহ তার সঙ্গিরা। আমি আমার ছেলের উপড় অত্যাচারের সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে আদমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদাল হোসেন আহত কলেজ ছাত্র একজন ইভটিজার দাবি করে বলেন, তিনি সামাজিক বিচারে এ ঘটনার নিষ্পত্তি করে দিবেন বলে জানান।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ঘটনা জেনেছেন উল্লেখ্য করে বলেন, এখন থানায় কোন অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মৌলভীবাজার,কমলগঞ্জ,যুবলীগ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close