মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি

  ১২ জানুয়ারি, ২০২২

স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই শিক্ষার্থীদের টিকা কেন্দ্রে

নরসিংদীর মনোহরদীতে টিকা নিতে আসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো সামাজিক দূরত্ব দেখা যায়নি। বরং সবাই গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়ানোর কারণে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চরম বিশৃঙ্খলায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০ হাজার জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ৮ জানুয়ারি থেকে ১২-১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার পঞ্চম দিনে ৪ হাজার ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দিনে এক হাজার এবং পরবর্তী তিনদিনে ১৫শ করে আরো ৪ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত মোট ১০ হাজার জন শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। গত চারদিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় প্রাঙ্গনে একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হলেও বুধবার থেকে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আরেকটি কেন্দ্র স্থাপন করে চারটি বুথে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন’র নির্দেশনা রয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে উপচে পড়া ভিড়। ভিড়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। কারও কারও মুখে মাস্ক নেই। আশপাশে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা ঘোরাঘুরি করছেন।

অভিভাবকরা জানান, একই সঙ্গে এত বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের মাত্র দুটি কেন্দ্রে নিয়ে টিকাদানের সিদ্ধান্ত সঠিক হয়নি। এ অব্যবস্থাপনার কারণে করোনামুক্ত হওয়ার বদলে সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরও আগে থেকেই কেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদর টিকাদানের পরিসর বাড়ানো যেত।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, এখানে লাইনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়মের বালাই নেই। কেউ শারীরিক দূরত্ব মানছে না। সবাই গা ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছে। এতে কারও করোনা হয়ে থাকলে অন্যদের মধ্যেও তা সংক্রমিত হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত।

উপজেলা শিক্ষা একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, ‘আমরা আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারব। সময় কম পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এমদাদুল হক সোহেল বলেন, 'ফাইজারের টিকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া প্রয়োগ করা যায় না। সেই পরিবেশ না থাকায় পর্যাপ্ত টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা যায়নি। তাছাড়া আমরা স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করেছি। কিন্তু মাত্র দুটি কেন্দ্রে অনেক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার কারণে ভিড়ের সমস্যা হয়েছে।’

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
মনোহরদী,নরসিংদী
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close