মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
স্কুলমাঠে আবর্জনার স্তূপ
দুর্গন্ধ নিয়েই ক্লাসে শিক্ষার্থীরা
১৮ মাস পর খুলেছে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার সরকারি আরএসকেএইচ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়। করোনা মহামারিতে এই স্কুলমাঠে নিয়মিত হাট বসলেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে এর চারপাশ। ফলে দুর্গন্ধ নিয়েই ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
মাহামারির শুরুর দিকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে বিদ্যালয় মাঠের উন্মুক্ত স্থানে হাটবাজার বসানো হয়। প্রতিদিন বাজার ও সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার হাট বসে এখানে। অস্থায়ী এই বাজারে ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্ধারিত কোনো জায়গা নেই। দেড় বছর যাবৎ ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয় ভবনের পেছনে, মাঠে ও পুকুরে ফেলেন ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাজাররাধানগরের বাসিন্দা বকুল মিয়া বলেন, এক বছর আগেও বিদ্যালয়টির পুকুরের স্বচ্ছ জল সবার দৃষ্টি কাড়ত। এখানে সাঁতার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতো । এখন সবই স্মৃতি।
পথচারী আরিফুল হক বলেন, আমাদের প্রতিদিন ময়লার স্তূপ পেরিয়ে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে নাকে–মুখে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হয়।
অভিভাবকরা জানান, স্কুলের পাশে এভাবে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। কোনো পক্ষই এসব আবর্জনা পরিষ্কার না করলে আমরা ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাবো কিভাবে?
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষগুলো পরিষ্কার করা হলেও চারপাশের অবস্থা নাজুক। শ্রেণিকক্ষের পাশেই ময়লা আবর্জনার স্তুপ। বাইরে থেকে শ্রেণি কক্ষের ভেতরে দুর্গন্ধ যাচ্ছে। স্বাস্থ্যঝুঁকির এমন পরিবেশে বাধ্য হয়ে ক্লাস করেছে শিক্ষার্থীরা।
তানিয়া, লাবণিসহ কয়েকজন ছাত্রী জানায়, দুর্গন্ধ বেরুচ্ছে। ক্লাসে দুর্গন্ধ আসে। অনেকদিন ক্লাস বন্ধ তাই ক্লাস করেছি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম নাসিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টির পুকুর ও চারপাশের কিছু জমি নিয়ে আদালতে মামলা আছে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে আমরা ওই জায়গাগুলোতে কেউ যেতে পারছি না। পরিষ্কারও করতে পারছি না।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকছেদুল মোমিন বলেন, বিদ্যালয় ও হাসপাতালের মাঝে ময়লা-আবর্জনার বিশাল ভাগাড় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, ওখানে প্রবেশ করলে যদি ভায়োলেশন মামলা হয়। আদালতের স্থগিতাদেশ দেখেছি। আরো এক বছর বাড়ানো হয়েছে। তবে, মাঠটিতে বালু ও মাটি ফেলে সমতল করা হচ্ছে।
পিডিএসও/ইউসুফ