reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ জুলাই, ২০১৭

টয়লেটে ছাত্রের সঙ্গে যৌনতা, নিষিদ্ধ শিক্ষিকা

ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে শিক্ষকতা পেশায় নিষিদ্ধ হলেন এক নারী। টয়লেটে গিয়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন শিক্ষিকা। ওই ছাত্রের সঙ্গে তার এ সম্পর্ক চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই।

যুক্তরাজ্যে ব্রিস্টলের একটি স্কুলের আটাশ বছরের ওই শিক্ষিকার নাম এলিয়ানর উইলসন।

জানা যায়, শিক্ষা সফরের সময় ফ্লাইটে বসে এক ছাত্রকে চুমো খান তিনি। ছাত্রের সঙ্গে অ্যালকোহল পান করেন। পরে টয়লেটে গিয়ে ওই ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন। ওই ছাত্রের সঙ্গে তার এ সম্পর্ক চলছিলো বেশ কিছুদিন ধরে।

এ ঘটনায় দেশটির ন্যাশনাল কলেজ ফর টিচিং অ্যান্ড লিডারশিপের (এনসিটিএল) একটি প্যানেলের তদন্তে শিক্ষিকা উইলসন দোষী সাব্যস্ত হন। তদন্তে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের আগস্টে ছাত্রটির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেছিলেন উইলসন।

প্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষিকার আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি হিসেবে উইলসনকে শিক্ষকতা পেশায় অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এনসিটিএলের তদন্তে দেখা যায়, ২০১৫-১৬ সালে ছাত্রটি ওই শিক্ষিকার অফিসে গেলে দুজনের মধ্যে অগ্রহণযোগ্য সম্পর্ক হয়। শিক্ষিকা তার ফোন নম্বর দেন ছাত্রটিকে। ছাত্রকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যান শিক্ষিকা। অ্যালকোহল পান করেন। দুজনের এই সম্পর্ক গোপন রাখতে ছাত্রটিকে উৎসাহিতও করেছিলেন তিনি।

তদন্তকালে অভিযোগ অস্বীকার করেন শিক্ষিকা। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে গত বছরই চাকরিচ্যুত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে এনসিটিএলের প্যানেল। তবে উইলসন এনসিটিএলের শুনানিতে অনুপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ যখন তদন্ত করে, তখন ওই ছাত্র তাদের সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়। তদন্তের পর প্যানেল বলছে, শিক্ষকতার পেশায় যে মান বা আচরণ কাম্য, তার ঘাটতি দেখা গেছে উইলসনের মধ্যে।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
টয়লেট,ছাত্র,যৌনতা,নিষিদ্ধ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist