reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

আরো ২টি চাঁদ আছে পৃথিবীর!

শুধু একটা নয় আরো দুটি চাঁদ আছে আমাদের। আর সেই দুটি চাঁদ আমাদের কাব্য, কল্পনা, ভালোবাসার চাঁদের মতো আদৌ পাথুরে নয়। তারা আসলে জমাটবাঁধা অত্যন্ত ঘন মেঘ। যে মেঘের শরীর গড়া মহাজাগতিক ধুলোবালি দিয়ে। এই দুটি চাঁদও আমাদের পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে। সূর্যের আলো পিঠে পড়লে তারাও ঝকমক করে ওঠে। এই দুইটি চাঁদেরও শুধুই একটি পিঠ দেখতে পাই আমরা। অন্য পিঠটি কোনো দিনই আমাদের চোখে ধরা দেয় না, আমাদের অতি পরিচিত চাঁদের মতোই।

গত ৬ দশক ধরে আঁতিপাতি খোঁজ তল্লাশের পর সেই দুইটি চাঁদের একটিকে শেষমেশ দেখতে পেয়েছে হাঙ্গেরির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি আন্তর্জাতিক গবেষক দল।

গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ‘নিউ এভিডেন্স ফর দ্য এক্সিসটেন্স অব দ্য কোর্দিলিউস্কি ডাস্ট ক্লাউড’। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হবে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘মান্থলি নোটিসেস অব দ্য রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি’র হালের সংখ্যায়, আগামী শনিবার। যে গবেষক দলে রয়েছেন এক অনাবাসী বাঙালি জ্যোতির্বিজ্ঞানীও।

১৯৬১ সালে পৃথিবীর আরো চাঁদের অস্তিত্বের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন পোল্যান্ডের জ্যোতির্বিজ্ঞানী কাঝিমিয়ার্ঝ কোর্দিলিউস্কি। কিন্তু তাদের পিঠ থেকে প্রতিফলিত আলো এতটাই দুর্বল যে, তাদের দেখা পাওয়ার আশা এক রকম ছেড়েই দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। বাড়তি অসুবিধার কারণ ছিল পৃথিবী থেকে তাদের দূরত্ব।

আরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ধ্রবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় গত শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে টেলিফোনে জানিয়েছেন, সূর্য আর পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বকে বলা হয় ‘ল্যাগরাঞ্জে পয়েন্ট’। যে দূরত্বে আমাদের আরো একটি চাঁদের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়েছে, তাকে বলা হয় ‘ল্যাগরাঞ্জে-ফাইভ’ বা ‘এল-৫’ পয়েন্ট।

প্রফেসর ধ্রবজ্যোতি বাবুর সঙ্গেই ছিলেন জুডিথ। তিনি বলেন, ‘আমরা যা দেখেছি, সেই ধুলোর মেঘের চাঁদে (কোর্দিলিউস্কি ডাস্ট ক্লাউড) আজ থেকে ৫৭ বছর আগে দেখতে পেয়েছিলেন পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোর্দিলিউস্কি। আমরা নিশ্চিত এটাই সেই চাঁদ। কারণ অঙ্কের হিসাব আর কম্পিউটার সিম্যুলেশনের সঙ্গে তা অবিকল মিলে যাচ্ছে। এভাবেই ‘এল-ফোর’ পয়েন্টে লুকিয়ে থাকা আরো একটি চাঁদের হদিস খুব শিগগিরই মিলবে বলে আমাদের আশা।’

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
চাঁদ,২টি চাঁদ,পৃথিবী,গবেষণা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close