নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ আগস্ট, ২০১৭

কোরবানির চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত দেশি খামারিরা

এবারও কোরবানির পশুর সংকট হবে না। দেশি গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল দিয়েই কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব। ভারত থেকে আমদানি না হলে কোরবানিতে গরুর সংকট তৈরি হবে এমন ধারণা বদলে গেছে। দেশের কৃষকদের খামারে পালিত পশু দিয়েই এই চাহিদা মেটানো সম্ভব। খামারিরাও রয়েছে কোরবানির অপেক্ষায় রয়েছে।

উৎসবকে সামনে রেখে খামারি ও কৃষকরা পশু লালন-পালন করেন বছরের শুরু থেকে। ঈদ ঘনিয়ে আসছে, তাই এই সময়ে পশুর যতœ নিতে ব্যস্ত খামারিরা। এছাড়া বন্যায় খামারে পানি উঠাসহ পশুর নানা রোগবালাই মোকাবেলায় সক্রিয় রয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে উদ্বিগ্ন রয়েছে খামারিরা। কারণ সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু এলে লোকসানে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী কোরবানির বাজারে দেশে ৪০ লাখ গরু, সাড়ে ২১ লাখ ছাগল ও দেড় লাখের মতো অন্যান্য পশু বিক্রি হয়। এ বছরও ৪৪ থেকে ৪৫ লাখ পশু কোরবানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ হিসাব প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের। গত বছর দেশি গরুর বিপুল সরবরাহ থাকায় সংকট হয়নি, এ বছরও সংকট হবে না বলে মনে করছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে দেশে কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষের সংখ্যা ছিল ৪৪ লাখ ২০ হাজার। আর ছাগল-ভেড়ার চাহিদা ছিল ৭০ লাখ ৫০ হাজার। এ চাহিদার প্রায় শতভাগ মেটানো হয়েছিল দেশীয় পশুর মাধ্যমেই। এর মধ্যে ৩০ লাখের জোগান এসেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামারিদের কাছ থেকে। আর দাম ভালো পাওয়ার আশায় সাধারণ গৃহস্থের ঘরে পালিত ১২ লাখ গরু উঠেছিল হাটে।

কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে খামারিদের ব্যাংক ঋণের সুবিধাসহ নানান সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে বন্যায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে লোকসানের আশঙ্কায় খামারি তাদের পালিত গরু নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দেশের সর্বত্র জেলা প্রশাসনের সহায়তায় এ পরিস্থিতি থেকে উতরে গেছে।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, কোনও খামারে বন্যার পানি উঠলে সেখান থেকে পশুগুলোকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কৃষকদের দাবির প্রেক্ষিতে গো-খাদ্যের যোগান দেওয়া হচ্ছে। পশুগুলোর কোনও রোগ-বালাই না হয় সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে জেলা-উপজেলায় চিকিৎসকদের সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।

অবৈধ-ক্ষতিকর উপায়ে পশু মোটাতাজাকরণ রোধে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। এ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের একাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপদ গরু ও ছাগল উৎপাদন করতে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কৃষকদের বাড়ি ও খামারে গিয়ে তদারকি করছেন। এমনকি কোরবানির পশুর হাটগুলোতে মনিটরিং টিম থাকবে বলেও জানান কর্মকর্তারা।

এছাড়া মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দুই বছরের মধ্যেই পরিপক্ব গরু উৎপাদনের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ দেশি গরু পরিপক্ব হতে ছয়-সাত বছর লাগে। আর ব্রাজিলের ষাঁড়ের মাধ্যমে দুই বছরে পরিপক্ব গরু উৎপাদন সম্ভব। এ বিষয়ে ব্রাজিলের কৃষি ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীকে ঢাকায় আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist