সেখ জিয়াউল হক, রাজশাহী
কালিজিরা চাষে আগ্রহী কৃষকরা
রাজশাহীর তানোরে শুরু হয়েছে বাণিজ্যিকভাবে দামি মসলাজাতীয় ফসল কালিজিরার চাষ। ব্যয়বহুল এ মসলার চাষে আগ্রহ বাড়ছে উপজেলার কৃষকদের। কালিজিরা শুধু মসলাজাতীয় ফসল নয়, সব রোগের ওষুধ হিসেবে খ্যাত কালিজিরা। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার বহড়াগ্রামে পরীক্ষামূলক চাষ করেছেন সফল সবজিচাষি আবদুল হামিদ। উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বহড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে সবজিচাষি আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমি এর আগে ১৬ শতাংশ জমিতে মসলাজাতীয় ফসল জিরা চাষ করেছি। জিরাবীজ এনেছিলাম ভারতের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। কিন্তু কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার জন্য ফলন আশানুরূপ হয়নি। তাছাড়া জিরা চাষে নিবিড় পরিচর্চার প্রয়োজন হয়। অপরদিকে কালিজিরা চাষে একটু যতœ নিয়েই ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব।’
তিনি আরো জানান, পরীক্ষামূলকভাবে চলতি মৌসুমে প্রায় ৮ শতাংশ জমিতে কালিজিরার চাষ করেছেন। কম খরচে বেশি লাভের আশায় উপজেলায় তিনিই প্রথম এ ফসলের চাষ শুরু করেন। তিনি আশা করেন অল্প সময়ের মধ্যেই কাটা-মাড়াই শেষ করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন দামি এ ফসল। তিনি কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় কালিজিরা চাষে সফল হয়েছেন বলে জানান। নিয়মিত ফসল চাষের একঘেয়েমি থেকে পরিবর্তন আনার জন্যই মূলত তিনি এ ঔষধি মসলাজাতীয় ফসল চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আয়ুর্বেদি, ইউনানি ও কবিরাজি চিকিৎসায় কালিজিরা ও এর তেল ব্যাপক ব্যবহারের প্রচলন আছে। আদিকাল থেকে লৌহ, ফসফরাস ও ক্যারোটিন-সমৃদ্ধ কালিজিরা বিভিন্ন রোগের মহাঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে কালিজিরা বীজ বপন করতে হয় এবং তিন মাসের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়।
"