২০১৪ সালে রমনা থানা ছাত্রলীগের তৎকালীন সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান রানা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি মো. ইকবাল হোসেন তারেককে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা করে র‌্যাব-৩ এর একটি দল।

র‌্যাব জানায়, ইকবাল হোসেন তারেকের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর হলেও তার বেড়ে ওঠা যশোরে। ফলে তার নিজ এলাকার মানুষ তাকে খুব ভালো চিনত না। আর এ কারণে তিনি নিজের নাম পরিচয় গোপন করে দীর্ঘ ৯ বছর নিজেকে আড়াল করে রাখেন।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, পলাতক আসামি চাঁদপুরে নিজের নামণ্ডপরিচয় গোপন রাখেন। সেখানে চাষাবাদ শুরু করেন। কিন্তু চাষাবাদের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি পুনরায় যশোর চলে যান। সেখানে কিছুদিন পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। তারপর মাদক ব্যবসা শুরু করেন।

তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে আবারও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে আবদুর রহিমের ছেলে তাহের পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করেন তারেক। শুরুতে গার্মেন্ট থেকে পরিত্যক্ত কার্টন সংগ্রহ করে বিক্রি করতেন। এ ব্যবসার আড়ালে ছিল তার মাদক ব্যবসা। সর্বশেষ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে তার প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) র‌্যাবের গোয়েন্দা দল তাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, আসামি তৎকালীন সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামক ডিশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক ছিলেন কামরুল ইসলাম এবং তানভিরুজ্জামান রনি। তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রানার ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ নিয়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের ডিশ ক্যাবল সংযোগ কেটে দিত। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে মাঝেমধ্যেই মারামারি হতো। ওই ঘটনার জেরে ২০১৪ সালের ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় রানা মোটরসাইকেলযোগে মগবাজার চৌরাস্তা সংলগ্ন মসজিদের পাশের গলিতে প্রবেশ করলে বাটার গলির মুখে তার গতিরোধ করে তাকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ২০১১ সাল থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আগ পর্যন্ত আসামি তারেক তৎকালীন সুইফ ক্যাবল লিমিটেড নামক ডিস ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

"