নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্যাংক খাতে লুটপাট নিয়ে সিপিডির তথ্য রাজনৈতিক : মুহিত

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৯ বছরের শাসনামলে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে প্রায় ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে বলে যে তথ্য প্রকাশ করেছে সিপিডি সেটা রাজনৈতিক বক্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অর্থ বিভাগের সচিব আবদুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। গত শনিবার ঢাকায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমাদের করণীয় কী’ শীর্ষক এক সেমিনারে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে বিগত এক দশকে ব্যাংক থেকে ২২ হাজার ৫০২ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে বলে জানানো হয়।

২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ১৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ খোয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সিপিডি যে তথ্য প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয়। এসব অর্থ থেকে বেশকিছু টাকা ফেরত আসবে। তাই সিপিডির দাবিকে ‘জাস্ট রাবিশ’ বলে মন্তব্য করেছি।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সিপিডির তো আরো সময় ছিল। নির্বাচনের আগেই কেন এটা প্রকাশ করল? যেহেতু নির্বাচনের আগে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেছে তাই এটাকে আমরা পলিটিক্যাল মুভমেন্ট হিসেবে দেখছি।

গত বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল এক মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)। মিট দ্য প্রেসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা খেলাপি ঋণ হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকারদের চেয়ে ঋণ গ্রহীতারা বেশি দোষী বলে মন্তব্য করেন। এবিবির এ মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু যারা ঋণ নেয় তাদের একার দায়িত্ব না। এখানে ব্যাংকারদেরও দায়িত্ব রয়েছে। কারণ যখন তারা গ্রাহকদের ঋণ দেবে তখন গ্রাহকের সবকিছু দেখেই ঋণ দেবে। তাই ঋণ খেলাপি হলে গ্রাহক একা দোষী না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close