গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গতকাল সংসদে বলেছেন, রাজধানী ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ নির্মাণাধীন ভবনের সংখ্যা ২৫৫টি। এর আগে এ সংখ্যা ছিল ৩২১টি; যার মধ্যে পুনঃসংস্কারের কারণে বাদ দেওয়া হয় ৬৬টিকে। ইতোমধ্যে বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারদলীয় এমপি এম আবদুল লতিফের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান। বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের এ অধিবেশন শুরু হয়।

এমপি কাজী নাবিল আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, জেলা শহর কিংবা সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলোয় স্বল্পব্যয়ে ফ্ল্যাট নির্মাণসংক্রান্ত কোনো প্রকল্প নেই জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের হাতে। তবে সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে ও চাহিদার ভিত্তিতে এ ধরনের প্রকল্প নেওয়া যেতে পারে। সরকারিভাবে ঢাকায় রাজউক উত্তরা (তৃতীয় পর্ব) প্রকল্পে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৮৫০ বর্গফুটের এক হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা রয়েছে। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৯০ একর জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে, যেখানে ছোট আকারে ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় ১৬৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হচ্ছে, যা আগামী ২০২০ সালের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। একই ধরনের প্রকল্প খুলনার কেডিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আহসানাবাদ আবাসিক এলাকা উন্নয়ন’ প্রকল্পে ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা রয়েছে।

"