নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
না.গঞ্জে হত্যার ৮ মাস পর ডিবি পুলিশের লাশ উত্তোলন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের দুর্গম এলাকা কালাপাহাড়িয়ায় মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজমের ইউনিটের কনস্টেবল রুবেল মাহামুদকে (সুমন) হত্যার ৮ মাস পর ফের কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। গতকাল রোববার দুপুরে লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আড়াইহাজার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ান-উল-ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ডিবির এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার খালেদা নাজনিনসহ স্থানীয় ও জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের ১৬ সদস্যের উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ১৪ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বি মিয়া লাশ উত্তোলনের আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী সোলেমান মিয়া পারুল জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে নিহতের শরীরে সাতটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। কিন্তু সুরতহাল রিপোর্টে পুলিশ উল্লেখ্য করেছিল ১৫টি চিহ্ন। আসামিদের রক্ষা করতে পরিকল্পিতভাবে আটটি আঘাত বাদ দিয়ে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এতে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে লাশ উত্তোলনের আবেদন করা হয়। এ সময় মামলার বাদী কামাল হোসেন সরকারের কাছে সুবিচার দাবি করে জানান, মামলার প্রধান আসামি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপনের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। পলাতক থেকেও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, তাদের অব্যাহত হুকমির কারণে মামলার বাদীসহ পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর কোরবানির পশুর হাটের ইজারার টাকা ভাগবাটোয়ারা ও এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে কালাপাহাড়িয়ায় সন্ত্রাসীরা পুলিশ কনস্টেবল রুবেল মাহামুদ সুমনের বাড়িতে ঢুকে তাকে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।
তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। যাহার বেজ নং-২২১৪১। নিহত রুবেল কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুপ মিয়ার ছেলে। একই ঘটনায় ওইদিন আহত হয়েছিলেন খোকন, রুবেল, জামির, শাহীনুর, সুজন, শিমুল, শাওন, ইসমাইল, আলমগীর, রুপ মিয়া ও হাসিমুনসহ অন্তত ২০ জন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কামাল হোসেন কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম স্বপকে প্রধান আসামি করাসহ ৩২ জনকে নামে একটি হত্যা মামলা করেন। আড়াইহাজার থানায় মামলা নং -১(৯) ১৭ইং।
"