সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
দুই ঘণ্টার বৃষ্টিতেই তিন ফুট পানি
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় জলাবদ্ধতা নিরসনে অর্থ ঢাললেও একই ধারাবাহিকতায় চলছে অচলাবস্থা। ফলে গত ২ দিনের বৃষ্টিতেই সৈয়দপুরের পাড়া-মহল্লা ও বাজার তলিয়ে গেছে ৩ ফিট পানির নিচে। সরকারি বরাদ্দের অর্থ পকেটস্থ করে ড্রেনেজ নির্মাণ না করাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবেই জলাবদ্ধতা স্থায়ী রূপ নিয়েছে বলে শহরবাসীর মন্তব্য। জলাবদ্ধতার শিকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাত্র ২ বছর আগেই সরকারের নির্দেশনায় বিশ্বব্যাংক সাড়ে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত অর্থে রাস্তা সংস্কার ও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য বড় ড্রেন নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ নামমাত্র ২-৩টি রাস্তা সংস্কার করলেও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনই নির্মাণ করেনি। এ ছাড়া শহর থেকে পানি নিষ্কাশনে যেসব ছোট ছোট ড্রেন রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করা হয়নি। ড্রেনের ভেতর বছরের পর বছর ধরে পলিথিনের স্তুপ জমা হয়েছে। ফলে পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে না পেরে সামান্য বৃষ্টিতেই পাড়া-মহল্লা ও রাস্তায় থাকছে হাঁটুপানি। শহরবাসীর অভিযোগ, শুধু পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ও আন্তরিকতা না থাকায় জলাবদ্ধতার দুর্ভোগই হচ্ছে পৌর মেয়রের উন্নয়নের নমুনা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার সরকারের দেওয়া অর্থ পেয়েও জনসাধারণের ভোগান্তির দিকে নজর দিচ্ছেন না। সরেজমিন শহর ঘুরে দেখা গেছে, গত শুক্রবার ও শনিবার রাতের বৃষ্টিতে শহরের মিস্ত্রিপাড়া, বাঁশবাড়ি, মুন্সিপাড়া, গোলাহাট, নতুন বাবুপাড়া, রসুলপুর, নয়াটোলা, নিয়ামতপুর, পুরাতন বাবুপাড়া ও কৃন্দল এলাকাসহ বাঙ্গালীপুর নিচপাড়া তলিয়ে গেছে তিন ফিট পানির নিচে। নীলফামারী-৪ আসনের সাংসদ শওকত চৌধুরীর বাড়িসহ সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম খোকনের বাড়িও তলিয়ে গেছে ৩ ফুট পানির নিচে। সৈয়দপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ জিয়াউল হক জিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে পৌর কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। অনেকে ড্রেনে ময়লা ফেলায় মাঝে মধ্যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
"