ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন ভরাট হচ্ছে খিরু নদী
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার খিরু নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে বালু উত্তোলন করছেন অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। এতে শুধু পানি প্রবাহই বাধা গ্রস্ত হচ্ছে না, নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা। খিরু নদীর চিরচেনা রূপ পাল্টে গেলেও অবাধে চলছে এই বালু ব্যবসা। পার্শ্ববর্তী গফরগাঁও, কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নদীপথে ট্রলারে করে এনে বালু উত্তোলনের কারনে নদী ভরাট হচ্ছে ।
এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল জাকির বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নদীর পাড়ের জমি ব্যক্তি মালিকাধীন। নদীর স্রোত শুকনা মৌসুমে দেখলে বোঝা যাবে মূল প্রবাহ বন্ধ হয়নি। আর এ কারনে আমরা ঠেকাতে পারছি না। গত কয়েকদিন আগেও আমরা ভ্রাম্যমান আদালত করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছি।
বালু ব্যবসায়ীরা জানান, তারা জমির মালিকের কাছ থেকে জমি ভাড়া নিয়ে সেখানে বালু উত্তোলন করছেন।
সরেজমিনে উপজেলার থানার মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় নদীর মাঝখান থেকে মেশিনের মাধ্যমে বালু ফেলা শুরু করছেন ব্যবসায়ীরা। নদীর দুই পাড়ে বালু উত্তোলনের ফলে সরু হয়ে পরছে নদী। বালু ব্যাবসায়ীরা বাঁধ দিয়ে বালু তোলার চেষ্টা করছেন যাতে পানি আটকে না যায়।
ভালুকা পৌর মেয়র একেএম মেজবা উদ্দিন কাইয়ুম বলেন, নদী ভরাট করে ব্যাবসায়ীদের বালু উত্তোলনে নিষেধ করলেও তা হচ্ছে না। বালু উত্তোলন বন্ধ রাখা গেলে নদীর জন্য ভালো হতো। তবে বালু ব্যাবসায়ীদেরকে নদীতে নেমে আসা বালু পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। গত বছর তারা এ কাজটি করেছিল। বালুভর্তি ট্রলার প্রতি ১০০ টাকা করে কর নির্ধারণ করা আছে যা পৌর ইজারার।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোশাররফ হোসেন খান জানান, খিরুতে বালু নেই, গফরগাঁও থেকে বালু এনে তারা উত্তোলন করছে এবং তাদেরকে পজিশন দেয়া আছে।
"