নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি

  ০৩ মে, ২০২৪

বগুড়ার নন্দীগ্রাম

সেচ ও বৃষ্টির অভাবে জমিতে ফাটল ফলনে শঙ্কা

তাপপ্রবাহে বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বৃষ্টির অভাবে বোরো ধানের জমিতে ফাটল ধরেছে। উপজেলার বাদলাশন ও সিধইলসহ বেশকয়েকটি গ্রামের মাঠে পানির অভাবে প্রায় ৪০০ বিঘা জমির ধান নুয়ে পড়ছে। বাদলাশন নলকূপ বিরোধে জমিতে ঠিকমতো পানি সেচ দেওয়া হয় না অভিযোগ কৃষকদের। এতে ধানের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় কৃষকরা।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৯ হাজার ৮২৩ হেক্টর জমিতে ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষক রেজাউল শেখ, বাদশা মিয়া, মোতলেব, রাজু, বাচ্চু মিয়া অভিযোগ করেন, বাদলাশন বি-৫৪ গভীর নলকূপের নতুন অপারেটর আব্দুর রাজ্জাক নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই আগের কমিটির সদস্যদের জমিতে ঠিকমতো পানি সেচ দেন না। বাদলাশন মাঠে নলকূপ বিরোধে পানি সেচ না দেওয়ায় মাঠের শতবিঘা ও সিধইল মাঠে প্রায় ২৫০ বিঘা জমির মাটি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে। নলকূপ কমিটি পরিবর্তনের পর থেকেই এ অবস্থা। কৃষকেরা নিরুপায় হয়ে প্রতিকারের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিএডিসি বগুড়ার সহকারী প্রকৌশলী (সওকা), উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগের অনুলিপি দিয়েছেন। তারা অপারেটর আব্দুর রাজ্জাককে পরিবর্তন করার দাবিও তাদের। কৃষকেরা আরো জানায়, ধানে নতুন শিষ (ফুল) এলেও শুকিয়ে যাচ্ছে। এ সময় খেতে পর্যাপ্ত সেচ দিতে না পারলে ধানগুলো চিটা (শুকিয়ে মরে যাওয়া) হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তীব্র রোদ ও লোডশেডিংয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পানির অভাবে বোরো খেত শুকিয়ে যাচ্ছে। অনেক জমির মাটিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে।

নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গাজীউল হক জানান, সেখানে নলকূপ বিরোধ নিরসনে কৃষকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানির অভাবে ধানের শিষ শুকিয়ে চিটা হতে পারে। যেসব জমির ধান পাকতে শুরু করেছে, সেগুলো কাটতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাদলাশন বি-৫৪ গভীর নলকূপ এরিয়ার (স্কিম) মধ্যে আড়াইশ বিঘা জমি আছে। লাইসেন্স ছাড়া দুটি ডিপ যন্ত্র ছিল, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জমিতে সেচ দিকে আপাতত সব মেশিন চালু রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নন্দীগ্রাম এরিয়ার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. রকিবুজ্জামান জানান, এ মুহূর্তে উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের কারণে লোডশেডিং বাড়ছে। যেসব এলাকায় কৃষিজমি বেশি ওইসব এলাকায় টানা ২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির জানান, ওই নলকূপ বিরোধে জমিতে সেচ না দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। দুপক্ষের বিরোধ নিরসনের চেষ্টা করছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close